রোহিঙ্গা শরণার্থী ও বাংলাদেশের স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য চলমান মানবিক কার্যক্রম টিকিয়ে রাখতে পর্যাপ্ত তহবিল নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘ (ইউএন) ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স (এনটিএফ)।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এনটিএফ-এর চেয়ারপারসন পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এনটিএফ-এর ৪৬তম বৈঠকে এ আহ্বান জানানো হয়।
বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব পুনর্ব্যক্ত করেন যে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের টেকসই ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনই এ সংকটের একমাত্র দীর্ঘমেয়াদি সমাধান। তিনি বলেন, আমরা এ সংকট সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সমস্ত অংশীজনদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
জাতিসংঘ সংস্থার প্রতিনিধি, বিশ্বব্যাংক, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের সুবিধার্থে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রতি জোরালো আবেদন জানানো হয়, যাতে তাদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা রাখাইন রাজ্যে বর্তমান উদ্যোগের বিষয়ে বৈঠকে ব্রিফ করেন এবং সেখানে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য নিরাপদ ও অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানান।
বৈঠকে ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার পরিকল্পনাসহ কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গা জনসংখ্যা সংক্রান্ত জটিল সমস্যাগুলো তুলে ধরা হয়।
আলোচনায় বিশ্বব্যাংক ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের সহায়তায় রোহিঙ্গা ও স্থানীয় উভয় সম্প্রদায়ের জন্য অর্থায়নের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী উপস্থিতির কারণে উদ্ভূত নানা চ্যালেঞ্জ, বিশেষ করে আর্থ-সামাজিক ও নিরাপত্তার ওপর এর বিরূপ প্রভাবগুলো তুলে ধরেন।
বৈঠকে ক্যাম্পে ও এর আশপাশে সার্বিক নিরাপত্তা বাড়ানো এবং মিয়ানমারের সদ্য আগত নাগরিকদের চাহিদা পূরণের ওপর জোর দেওয়া হয়।