চিকিৎসা শিক্ষায় উন্নতমানের ক্ষেত্রে কোনো আপোস করা যাবে না বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার।
তিনি বলেন, উন্নত মেডিক্যাল শিক্ষা, উন্নত চিকিৎসা সেবা ও মানসম্মত গবেষণায় বিএসএমএমইউকে অপ্রতিন্ধ¦ন্ধী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষকরাই অগ্রযাত্রী। এই ক্ষেত্রে নবীন শিক্ষকদের দায়িত্ব সবচাইতে বেশি।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিএসএমএমইউতে শহীদ ডা. মিল্টন হল ও শহীদ ডা. মিলন হলের এক্সটেনশন রুমে ২টি কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
সব দিক থেকেই বিএসএমএমইউকে আন প্যারালাল ইনস্টিটিউট হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট এ্যাক্ট ও রুলস বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলেরই যথাযথ ধারণা থাকা উচিত বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তৃতা করেন আইকিউএসি-এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. জেসমিন বানু এবং সঞ্চালনা করেন আইকিউএসি-এর অতিরিক্ত পরিচালক ডা. তারিক রেজা আলী।
অধ্যাপক ডা. জেসমিন বানু তার বক্তব্যে শিক্ষকদের বেশি বেশি করে প্রশ্নপত্র তৈরি করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এই কাজটি বেশি বেশি করলে শিক্ষকদের মাঝে সৃষ্টিশীলতা বৃদ্ধি পাবে।
অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউর শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. আতিয়ার রহমান, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. শামীম আহমেদ, বেসিক সাইন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক ডা. আবু হেনা হেলাল উদ্দিন আহমেদ. পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) গৌর কুমার মিত্র প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রশ্নপত্র প্রস্তুতকরণ ও মর্ডারেশন বিষয়ক কর্মশালার টেকনিক্যাল সেশনে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিসিপিএসর কাউন্সিলর অধ্যাপক তাহমিনা বেগম ও বিএসএমএমইউর অধ্যাপক ডা. নুরুন্নাহার খানম। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট এ্যাক্ট ও রুলস বিষয়ক কর্মশালার টেকনিক্যাল সেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. আব্দুল ওয়াদুদ ও গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার (প্রকিউরমেন্ট) আশিক আহমেদ শিবলী।