পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের পর মঙ্গলবার শেফালি বেগম (৭০) নামের এক বৃদ্ধাকে হাত-পা বেঁধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত শেফালি উপজেলার সুটিয়াকাঠী গ্রামের আব্দুস সোবাহান এর স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানায়, দুই ছেলের সাথে অসম্পূর্ণ একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় বাস করতেন শেফালী। তার দুই ছেলে এবং এক ছেলের স্ত্রী পেশায় শিক্ষক। মঙ্গলবার সকালে শেফালীর বড় ছেলে এনামুল হক, তার স্ত্রী রুবিনা রহমান শ্রাবনী এবং এনামুলের ছোট ভাই রিয়াজ উদ্দিন বিদ্যালয়ে চলে যায়। এছাড়া এনামুলের চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে তাহজিদও সকালে স্থানীয় একটি মাদরাসায় গিয়েছিল। রিয়াজের স্ত্রীও তার বাবার বাড়িতে ছিল। ফলে সবাই কর্মস্থলে যাওয়ার পর ঘরে একাই ছিল শেফালী।
সকালে কোনো এক সময় একটি দুর্বৃত্ত চক্র ঘরে প্রবেশ করে এবং রশি দিয়ে শেফালীর হাত-পা বেঁধে ফেলে। এরপর তাকে হত্যা করে ঘর থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে সটকে পড়ে।
দুপুর একটার দিকে এনামুলের ছেলে তাহজিদ ঘরে ফিরে শেফালীর হাত-পা বাধা নিথর দেহ খাটের উপর পড়ে থাকতে দেখে ডাক চিৎকার দেয়। এসময় প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যায়। তবে কর্তব্যরত চিকিৎসক শেফালিকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত শেফালীর বড় ছেলে এনামুলের দাবি তার মায়ের হত্যাকারীরা ঘর থেকে প্রায় আট ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ এক লক্ষ টাকা লুট করেছে।
হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি তদন্তাধীন বলে জানান নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বনি আমীন। তদন্তের পর হত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করা যাবে বলে জানান তিনি।