ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তারকে ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপালে গণহত্যার অন্যতম সহযোগী ও ফ্যসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে তাকে অপসারণসহ ৩ দফা দাবিতে বিপ্লবী ছাত্র সমাজের ব্যানারে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২০ অক্টোবর) শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এর আগে শহীদ মিনার চত্বর থেকে একটি মিছিল নিয়ে শহরের পুরাতন জেল রোড প্রদক্ষিণ করে ট্রাংক রোডের দোয়েল চত্বর গিয়ে শেষ করে সমাবেশে মিলিত হয়।
এসময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আওয়ামী লীগের দোসর শাহীনা আক্তারের বিচার চাই’, ‘আশা ছিল উন্নতি আর শান্তি, করেছেন অনিয়ম আর দুর্নীতি’, ‘আবু সাইদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘দুর্নীতিবাজদের হাত ভেঙে দাও’- এমন নানা স্লোগান দেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ফেনীতে ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মহিপালে গণহত্যা চালিয়েছে।
জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তারকে ব্যক্তিত্বহীন উল্লেখ করে তারা বলেন, গণহত্যার এতদিন পার হলেও তিনি কোনো শহীদ পরিবারের সঙ্গে দেখা করেনি। তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে ফেনীর দুই সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন নাসিম ও নিজাম হাজারীর সঙ্গে যোগসাজশে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি করেছেন। এসময় তারা জেলাপ্রশাসককে দ্রুত অপসারণ ও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- ফেনী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার সোহান, আবদুল্লাহ উবায়ের অন্তু, সোনাগাজী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী রেদোয়ানুল ইসলাম ও ফেনী সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম রাতুল।
ফেনী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার সোহান বলেন, জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তার গণহত্যার এতদিন পরেও কোন শহীদ পরিবারের সাথে দেখা করেন নি।তিনি আওয়ামী ফ্যাসিস্টের দোসর হয়ে কাজ করেছেন। নানা অনিয়ম দুর্নীতির সাথে তিনি জড়িত ছিলেন। তার অপসারণ করা ফেনীবাসীর সকলের দাবি।
ফেনী সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন,সাম্প্রতিক সময়ে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায়ও তার নিরব ভূমিকা সবাই দেখেছে। এতকিছুর পরও নতুন বাংলাদেশে অজানা কারণে তিনি এখনো স্বপদে বহাল রয়েছেন। আমরা ফেনীবাসী অবিলম্বে তার অপসারণ ও বিচারের দাবি করছি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৬ জুলাই ফেনীর প্রথম নারী জেলাপ্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পান মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার। এর আগে তিনি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপসচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন।