অপহরণে বাধা দেয়ায় দুই যুবককে কুপিয়ে জখম

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, নরসিংদী | 2024-10-19 17:24:13

নরসিংদীর পলাশে শিশু অপহরণে বাধা দেয়ায় শামীম (২৮) ও শাহিন (২৬) নামের দুই যুবককে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা। নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার তারগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত শামীম মিয়া জানান, চার পাচ বছর পূর্বে তার বোন শান্তাকে সামাজিক রীতি নীতি অনুযায়ী পলাশ দড়িহাওলাপাড়া গ্রামের মনসুর আলীর ছেলে হাবিব মুন্না নামে এক ছেলের কাছে বিয়ে দেয়। বিয়ের পর থেকে মুন্না প্রতিনিয়ত শান্তার উপর জুলুম নির্যাতন করতে থাকে। এরই মধ্যে দুই বছর বয়সের মাশরিফ নামের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। এ অবস্থায়ও মুন্না মোটা অংকের যৌতুক দাবি করে স্ত্রী শান্তার উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। অবশেষে স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে শান্তা দুই বছরের ছেলে সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে এবং শরীয়ত মোতাবেক আদালতের মাধ্যমে মুন্নাকে তালাক দেন শান্তা। এরপরও মুন্না তার ছেলে সন্তানকে দেখার অজুহাতে শান্তাদের বাড়িতে আসে এবং শান্তা ও তার মাকে মারধর করে এবং ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে চলে যায়।

শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মুন্না ও তার বাবা মনসুর আলী অনধিকার প্রবেশ করে শান্তাদের বাড়িতে ঢুকে শান্তার ছেলে মাশরিফকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় শান্তার ভাই শামীম ও শাহীন তাদের বাধা প্রদান করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মুন্না তার সাথে থাকা ছুরি দিয়ে শাহীনকে এলোপাথারিভাবে আঘাত করতে থাকে। এ অবস্থায় তার ভাই শামীম ফেরাতে গেলে তাকেও আঘাত করা হয়।

শুধু তাই নয়, তারা মাশরিফকে অপহরণ করতে না পারায় ঘরে থাকা শান্তা ও তার মাকে মারধর করে। এ সময় মুন্নার ছোট ভাই হিমু পাঁচ থেকে ছয়টি মোটরসাইকেল দিয়ে আরো ৮-১০ জন ভাড়াটিয়া দুর্বৃত্তকে সাথে নিয়ে শান্তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। এ অবস্থায় শান্তার পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।

অপরদিকে শাহিনের চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন দৌড়ে এসে তাকে প্রথমে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে নরসিংদিয়া ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেয়া হলে তাকে ঢাকা নেওয়ার পরামর্শ দেন। সর্বশেষ শাহীন ঢাকা মেডিকেল কলেজে সংকটা পণ্য অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এই বিষয়ে পলাশ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, এই ঘটনার খবর পেয়ে পলাশ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্বৃত্তদের কাউকে পাওয়া যায়নি আর এখনো পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পলাশ উপজেলার তারগাঁও গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী শহিদুল্লাহ এবং তার ছেলে সৌদি ফেরত শামিম মিয়া ছুটিতে দেশে রয়েছে এবং শাহিন সৌদি যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর