কলাপাড়ায় দেশীয় মাছের দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে

, জাতীয়

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কলাপাড়া, পটুয়াখালী | 2024-10-18 14:05:38

চলতি বছরের ১৩ অক্টোবর থেকে মা ইলিশ রক্ষার জন্য মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ার পর থেকেই পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সামুদ্রিক মাছের সংকট দেখা দিয়েছে। এতে করে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে দেশীয় মাছের ওপর চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব মাছের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে এসব মাছ উপকূলের মানুষের ক্রেতাদের নাগালে চলে গেছে।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) কলাপাড়ার পাখিমারা, নাচনাপাড়া, হাজীপুর বাজার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, পাঙ্গাশ ২০০ টাকা, চিংড়ি ৬০০-৭০০ টাকা, কোরাল ৭৫০-৮০০ টাকা, রুই (ছোট) ২০০ টাকা, কাতল সাইজভেদে ৩০০ টাকা, টেংরা ৩৫০-৪০০ টাকা। এছাড়াও সোনালী মুরগি বিক্রি হয় ৩৭০ টাকা ও গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজিতে।

দাম বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে পাখিমার বাজারের মাছ বিক্রেতা হোসাইন গাজী বলেন, এর আগেও অনেক সময় প্রকারভেদে বিভিন্ন মাছের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সম্প্রতি অবরোধ চলছে, তাই মাছের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। আশা করি অবরোধ শেষ হলে এসব দেশীয় মাছের দাম স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

কুয়াকাটার মাছ ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন বলেন, নিত্য পণ্যের বাজার মোটেই কমতির দিকে নেই। সব জিনিসপত্রের মূল্যই বৃদ্ধি পেয়েছে একযোগে। ফলে অধিকাংশ ক্রেতারা দাম শুনেই মনঃক্ষুণ্ন হচ্ছেন। কেউ কেউ মাছ না কিনে রাগান্বিত হয়ে চলেও যান।

তিনি আরও বলেন, আজ সকালে ডাকের মাধ্যমে আমি চিংড়ি ক্রয় করেছি ৬০০ টাকা দরে। সারাদিন আমার মজুরি ও আনুষঙ্গিক খরচ আছে সে হিসেবে আমাকে কখনো ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হয়। বাজারে মাছ না থাকায় দামটা একটু বেশি।

কথা হয় প্রতিদিন সকালে মাছ কিনতে আসা কেএম বাচ্চুর সাথে তিনি বলেন, আমরা যারা একটু মধ্যবিত্ত, সবসময় বড় মাছ তো কিনতে পারি না তাই একটু বেশিই চাহিদা থাকে পাঙ্গাশ মাছের দিকে। সেই পাঙ্গাশ মাছ ২০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করা লাগছে। আমরা যাবো কোথায়?

এবিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম জানান, সাড়া দেশেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণে একটি টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে।কেউ যাতে অতিরিক্ত মূল্য নিতে না পারে সে বিষয়ে আমাদের নজর থাকবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর