পাসের হারে সিলেটের চমক, পেছনে ময়মনসিংহ

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-10-15 12:42:48

এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে সবচেয়ে ভালো করেছে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের শিক্ষার্থীরা। এ বোর্ডে পাসের হার ৮৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ। অন্যদিকে সবচেয়ে খারাপ করেছে ময়মনসিংহ বোর্ডের শিক্ষার্থীরা। এ বোর্ডের পাসের হার ৬৩ দশমিক ২২ শতাংশ।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করা হয়। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সম্মেলনকক্ষে সবকটি বোর্ডের ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। ফলাফলের সারসংক্ষেপ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

সিলেট শিক্ষাবোর্ডে গতবার পাসের হার ছিল ৭১ দশমিক ৬২ শতাংশ। গত বছরের চেয়ে ফলাফল ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেড়েছে। এর আগের বছর পাসের হার ছিল ৮১ দশমিক ৪০ শতাংশ। জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ছেলেদের এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা।

অন্যদিকে ময়মনসিংহ বোর্ডে ২০২৩ সালে পাসের হার ছিল ৭০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। সেই হিসেবে বোর্ডটিতে এবার পাসের হার ৭ শতাংশের বেশি কমেছে।

প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, পাসের হারে এ বছর শীর্ষে থাকা সিলেট বোর্ডের পরেই রয়েছে বরিশাল বোর্ড। বরিশালে পাসের হার ৮১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। তার কাছাকাছি অবস্থানে রাজশাহী বোর্ডও। রাজশাহীতে পাসের হার ৮১ দশমিক ২৪ শতাংশ।

পাসের হারে এরপর পর্যায়ক্রমে রয়েছে ঢাকা বোর্ড ৭৯ দশমিক ২১ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭১ দশমিক ১৫ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ, যশোরে ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ।

এদিকে, ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদরাসা ও কারিগরি মিলিয়ে ১১টি বোর্ডের হিসাবে পাসের হারে সবচেয়ে এগিয়ে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড। এ বছর এ বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত আলিম পরীক্ষায় পাসের হার ৯৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। এরপরই অবস্থান করছে কারিগরি বোর্ড, সেখানে পাসের হার ৮৮ দশমিক ০৯ শতাংশ।

গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। প্রথম প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী- ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটাসংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে স্থগিত পরীক্ষাগুলো না নিতে আন্দোলনে নামেন একদল পরীক্ষার্থী।

তাদের দাবি ছিল, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরীক্ষা বন্ধ থাকার বিষয়টি তাদের মানসিক চাপে ফেলেছে। তাই অবশিষ্ট পরীক্ষাগুলো বাতিল করতে হবে। একপর্যায়ে পরীক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করা হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর