লক্ষ্মীপুরে মেঘনায় মধ্যরাত থেকে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর | 2024-10-12 12:32:49

প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষা ও জাটকা সংরক্ষণে মেঘনার অভয়াশ্রম এলাকায় আজ মধ্যরাত থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় সব ধরনের মাছধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সময় মাছ ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও পরিবহনের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

মৎস্য সংরক্ষণ আইন ১৯৫০-এর ১৩ ধারা অনুযায়ী মৎস্য অধিদপ্তর এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

এছাড়া নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে বিকল্প কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসনের আওতায় জেলায় এ বছর প্রায় ৩৯ হাজার ৭৫০ জন জেলেকে ৯৯৩ মেট্রিকটন খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে।

জানা যায়, জাটকা রক্ষা ও ইলিশ মাছের বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০৬ সাল থেকে চাঁদপুরের ষাটনল হতে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনা নদীর নিম্ন অববাহিকার ১০০ কিলোমিটার নৌ-সীমাকে ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, মা ইলিশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে ১৩ অক্টোবর হতে ৩ নভেম্বর ২২ দিন মেঘনা নদীর ১০০ কি.মি. এলাকায় সকল ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়েছে।

মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে মাছ ধরা বন্ধ রাখার জন্য জেলে পল্লীসহ মাছঘাট এলাকা এবং উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে নানা ধরনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। লিফলেট, পোস্টার ও মাইকিং করার মাধ্যমে এলাকায় প্রচার-প্রচারণাও চালানো হচ্ছে। এছাড়া মাছ ধরা প্রতিরোধের জন্য মোবাইল কোর্টও পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এছাড়া এই সময়ে মানবিক সহায়তা হিসেবে প্রতি জেলের জন্য ২৫ কেজি করে জিআর চাল বরাদ্দ রয়েছে। এবছর জেলায় ৩৯ হাজার ৭৫০ জন জেলের জন্য ৯৯৩ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ হয়েছে।

এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন জানান, নিষিদ্ধ সময় জেলেদের মাছ ধরা থেকে বিরত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ ২২ দিনে সারাদেশে ইলিশ আহরণ,পরিবহন মজুদ, বাজারজাতকরণ,ক্রয়-বিক্রয়, ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই সময়ে নদীতে মাছ ধরা দণ্ডনীয় অপরাধ। এই আইন অমান্যকারীকে কমপক্ষে ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২২ দিন মেঘনায় মাছ ধরা বন্ধ রাখার ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইন ভঙ্গ করে নদীতে মা ইলিশ ও জাটকা ইলিশ ধরার চেষ্টা করলে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মৎস্য বিভাগ, কোষ্টগার্ড, নৌ-পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর