মাছের ডিম বেশ লোভনীয় ও মুখরোচক একটি খাবার। তবে যেকোন মাছের ডিম যেনতেনভাবে রান্না করলেই খাওয়া যায় না। বিশেষ করে ডিমের আঁশটে গন্ধ রয়ে গেলে প্রচুর মশলা দিয়ে রান্না করেও সে তরকারি খাওয়ার উপযোগী থাকে না। যে কারণে মাছের ডিম রান্নায় বিশেষ কৌশল মেনে তবেই রান্না করতে হয়।
১. ছোট ৮টি পটল।
২. মাঝারি ২টি আলু।
৩. ১৫০-২০০ গ্রাম মাছের ডিম।
৪. দুইটি পেঁয়াজ বাটা।
৫. এক চা চামচ আদা বাটা।
৬. একটি টমেটো।
৭. এক চা চামচ জিরা গুঁড়া।
৮. আধা চা চামচ ধনিয়া গুঁড়া।
৯. এক চা চামচ মরিচ গুঁড়া।
১০. এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া।
১১. তিন চা চামচ বেসন।
১২. আধা চা চামচ গোটা জিরা।
১৩. ৪-৫টি কাঁচামরিচ।
১৪. দুইটি তেজপাতা।
১৫. ১৩ চা চামচ গরম মশলা।
১৬. ৪-৬ টেবিল চামচ সরিষা তেল।
১৭. স্বাদমত লবণ।
১. মাছের ডিমগুলো ভালোভাবে ধুয়ে ও সাইজমতো কেটে এতে অল্প লবণ, এক চিমটি হলুদ, ৩ চা চামচ বেসন দিয়ে মাখিয়ে মাঝারি জ্বালে ডিমের উভয় পাশ সোনালি-বাদামি করে ভেজে নিতে হবে।
২. কড়াইতে তেল গরম করে মাঝ বরাবর কাটা পটল ও আলুর টুকরা হালকা ভেজে তুলে রাখতে হবে। একই তেলে গোটা জিরা, তেজপাতা, কাঁচামরিচ দিয়ে ভেজে লবণ ও পেঁয়াজ বাটা দিতে হবে। ভাজা হয়ে আসলে আদা বাটা, জিরা গুঁড়া, ধনিয়া গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া দিয়ে আধা কাপ পানি দিয়ে নাড়তে হবে।
৩. মশলা কষানো হয়ে আসলে এতে টমেটো কুঁচি দিয়ে নেড়ে ৩-৪ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। টমেটো সিদ্ধ হয়ে আসলে আগে থেকে ভেজে রাখা পটল, আলু ও মাছের ডিম দিয়ে এক কাপ গরম পানি দিয়ে নেড়ে চুলার জ্বাল কমিয়ে দিতে হবে। এতে করে মশলা সবজি ও মাছের ডিমের ভেতর ঢুকতে পারবে। ঝোল টেনে আসলে তরকারির উপর গরম মশলা গুঁড়া ছিটিয়ে চুলার জ্বাল বন্ধ করে ঢেকে রাখতে হবে ১৫ মিনিট। এরপর পরিবেশন করতে হবে মাছের ডিমে আলু-পটলের ঝোল।