বছরের অন্যান্য ঋতুর চাইতে বর্ষার সময়টা বেশ ভিন্ন হয়। এই গরম, এই বৃষ্টির জন্য ঠান্ডা আবহাওয়া। সেই সাথে হুটহাট বৃষ্টির ঝক্কি তো আছেই। এ সকল কারণে বর্ষায় ঠান্ডাজনিত সমস্যা পিছু ছাড়তেই চায় না।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যত ভালো থাকবে, ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন সমস্যার হাত থেকে নিজেকে তত সুরক্ষিত রাখা সম্ভব হবে। আর্দ্রতাপূর্ণ এই আবহাওয়ায় একই সাথে নিজেকে সুস্থ রাখা ও শরীরে পানির পরিমাণ সঠিক মাত্রায় বজায় রাখা জরুরি। জানুন এমন তিনটি পানীয় সম্পর্কে যা একইসাথে উভয় উপকারে আসবে।
এই তালিকায় প্রথমেই আসবে আদা চায়ের নাম। মূল জাতীয় প্রাকৃতিক উপাদানটি থেকে একইসাথে পাওয়া যাবে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপকারিতা। ঠান্ডার সমস্যা প্রতিরোধ ও প্রতিকারের সঙ্গে পেটের সমস্যা কমাতেও আদা চা জনপ্রিয় একটি পানীয়। এছাড়া এই পানীয়টি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখে বলে, নিয়মিত আদা চা পানে নিজেকে তুলনামূলক সুস্থ রাখা সম্ভব হয়। আদা চা তৈরির জন্য পানি ফুটিয়ে এতে আদা কুঁচি দিয়ে দিতে হবে। পানিতে আদার রঙ ছাড়লে ছেঁকে নিয়ে এতে মধু মিশিয়ে পান করতে হবে।
হলুদ গুঁড়া ব্যতীত আমাদের দেশীয় কোন রান্নার কথা ভাবাই যায় না। ম্যাজিকেল এই মশলাটিই বর্ষাকালীন সময়ে ঠান্ডার সমস্যা রোধে কাজ করবে। এতে থেকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং কারকিউমেনের পাশাপাশি অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাংগাল ধর্ম যেকোন ধরণের ইনফেকশনের বিপরীতে প্রতিরক্ষামূলক দেয়াল তৈরি করে। হলুদের সঙ্গে গোলমরিচের মিশ্রণ হলুদের গুণাগুণকে আরও দৃঢ় করতে সাহায্য করে। হলুদ-কালো গোলমরিচের চা তৈরির জন্য সাধারণ লাল চায়ে আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়া ও এক চিমটি গোলমরিচের গুঁড়া যোগ করতে হবে। এই চায়ের স্বাদ খুব একটা ভালো না হলেও, উপকারিতার জন্যে নিয়মিত পান করতে হবে।
এসিভির অগণিত স্বাস্থ্য উপকারিতার মাঝে অন্যতম হল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সবল করা এবং ইনফেকশনের বিরুদ্ধে কাজ করা। বর্ষাকালীন সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং ঠান্ডার সমস্যা কমাতে দারুণ কাজে আসবে এসিভি। এর জন্য এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চা চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনেগার এবং আধা চা চামচ দারুচিনি গুঁড়া মিশিয়ে নিতে হবে। একদিন পরপর এই পানীয়টি পান করতে হবে।