আমাদের দেশে বেশ কয়েক জাতের বেগুন পাওয়া যায় এবং প্রতিটি জাতের বেগুন থেকেই একই ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যাবে।
যদিও সবজিটির নামের জন্য অনেকেই ব্যঙ্গ করে থাকেন, কিন্তু নামের সাথে উপকারী এই সবজির গুণের মিল নেই একেবারেই। অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা ও আঁশ, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফলেট, পটাশিয়াম, ভিটামিন-কে ও সিতে ভরপুর বেগুন প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে রাখতে পারলে যে উপকারিতাগুলো পাওয়া যাবে তার কয়েকটি আজকের ফিচারে তুলে ধরা হলো।
বেগুনে থাকা ফেনোলিক উপাদান ও আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং পটাসিয়াম হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে অবদান রাখে। ফলে সহসাই হাড়ের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, খাদ্যাভ্যাসে সবজির মাঝে বেগুন থাকলে শরীরে ভিটামিন সি-এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এতে করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে তুলনামূলক বেশ অনেকটা, যা সাধারণ রোগ ও সংক্রমণকে দূরে রাখতে কাজ করে।
বেগুনে উপস্থিত আঁশ, পটাসিয়াম, ভিটামিন বি৬ এবং ফ্ল্যাভনয়েড রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি হৃদযন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এতে করে হৃদরোগ দেখা দেওয়ার আশঙ্কা কমে যায় অনেকটা।
হুট করেই খাদ্য পরিপাকজনিত সমস্যা দেখা দিলে উপকারী সবজি বেগুন খেলে সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে। এই সবজিতে থাকা আঁশ ও জলীয় অংশ পাকস্থলিস্থ খাদ্য দ্রুত পরিপাক করতে কাজ করে। এতে করে হজমজনিত কিংবা পরিপাকজনিত সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণের মাঝে রাখার ক্ষেত্রে বেগুন দারুণ সাহায্য করবে। বেগুনে থাকা পটাসিয়াম সহ একাধিক উপকারি খনিজ পদার্থ শরীরে ইলেকট্রোলাইটের সমতা বজায় রাখে। সেই সঙ্গে শরীরে লবণের পরিমাণও স্বাভাবিক মাত্রায় থাকে। ফলে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
বেগুনে থাকা পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশ দীর্ঘসময় পর্যন্ত পেট ভরা রাখতে কাজ করে। ফলে ঘনঘন ক্ষুধাভাব দেখা দেয় না। আরও দারুণ বিষয় হলো, ১০০ গ্রাম বেগুন থেকে পাওয়া যাবে মাত্র ২৫ ক্যালরি। স্বল্প ক্যালোরিযুক্ত এই সবজিটি তাই খাওয়া যাবে নির্ভয়ে।
আরও পড়ুন: খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করবে যে পাঁচ খাবার
আরও পড়ুন: পাঁচ উপকারিতার টক ফল তেঁতুল