বলাই বাহুল্য এই সকল পানির বোতল ব্যবহৃত হয় বিশুদ্ধ পানি সংরক্ষণের জন্য। শুধু বাড়িতেই নয়, অফিসে, বাইরে বেরুনোর আগে প্লাস্টিকের বোতলেই পানি নেওয়া হয় পান করার জন্য। এছাড়া আমাদের ব্যস্ত জীবন ও চাহিদার সাথে সহজেই মানিয়ে যাওয়া প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করা হয়।
যতটাই সহজলভ্য ও ইউজার ফ্রেন্ডলি হোক না কেন প্লাস্টিকের বোতল, এই উপাদান ব্যবহারে খুব সূক্ষ্মভাবে নেতিবাচক প্রভাব পরে আমাদের স্বাস্থ্যের উপরে। নিজের ও পরিবারের সুস্থতায় তাই প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার বর্জন করে স্টিল অথবা কাঁচের বোতল ব্যবহার করা। তাই এবারের ঈদে ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সাথে কিনে ফেলুন কাঁচের বোতল।
আপনাদের জানার সুবিধার্থে এখানে তুলে ধরা হলো প্লাস্টিকের বোতলে পানি পান করার কয়েকটি ক্ষতিকর দিক।
প্লাস্টিক বোতলের ক্ষতিকর উপাদান ছাড়াও, এই বোতলে পানি সংরক্ষন করার ফলে ফ্লোরাইড, আর্সেনিক, অ্যালুমিনিয়ামের মতো ক্ষতিকর উপাদান উৎপন্ন করে। এই সকল উপাদান মানবশরীরে বিষের মতো কাজ করে। নিয়মিত প্লাস্টিক বোতল থেকে পানি পান শরীরে খুব অল্প অল্প করে বিষের প্রভাব তৈরি করে ও অসুস্থতার নানান উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে।
এটা নিশ্চয় অজানা নয়, গরম আবহাওয়ায় প্লাস্টিক গলে। প্রায়শ আমরা গাড়িতে ভ্রমণ করার সময় প্লাস্টিকের বোতলে পানি নেই। গাড়ির গরমে ও রোদের আলোর তাপে এই সকল প্লাস্টিকের বোতল থেকে ডাইঅক্সিন নামক উপাদান নিঃসৃত হয়। যা ব্রেস্ট ক্যান্সার তৈরিতে অবদান রাখে।
আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব সহজেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্লাস্টিকের বোতল থেকে পানি পান করার ফলে। প্লাস্টিক বোতল তৈরিতে যে সকল উপাদান ব্যবহৃত হয়, তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়।
বিপিএ তথা বাইফেনল এ (Biphenyl A) হলো এস্ট্রোজেন হরমোনের উপর প্রভাব বিস্তারকারী একটি উপাদান। যা স্বাস্থ্যগত সমস্যার পাশাপাশি আচরনগত সমস্যা তৈরির জন্যেও সমানভাবে দায়ী।
আরও পড়ুন: ঈদ ট্রেন্ডে থাকবে ‘ন্যুড মেকআপ লুক’
আরও পড়ুন: গহনার আয়োজনে নন্দিত 'নৈর্ঋতা'