এছাড়াও চমৎকার গুণাবলী সমৃদ্ধ এই খাদ্য উপাদানগুলো ভীষণ সহজলভ্য হয়। এমনই সহজলভ্য ও স্বাস্থ্য গুণে ভরপুর একটি খাদ্য উপাদান হলো ছোলা। পরিচিত এই খাবারটি আমাদের দেশে মূলত রমজানের সময়েই খাওয়া হয়। এরপর সারা বছর তার আর কোন খোঁজ থাকে না। অথচ প্রতিদিন স্বল্প পরিমাণে হলেও ছোলা খাওয়া প্রয়োজন।
নানান উপায়ে তৈরি করা যায় বলে ছোলা খাওয়া যায় দিনের যেকোন সময়েই। সহজলভ্য ও সুলভ এই উপাদানটিকে নিত্যদিনের খাদ্যাভাসে রাখার পরামর্শ দেওয়ার পেছনের কারণগুলো জেনে নিন।
বাড়তি ফ্যাট ও ক্যালোরিবিহীন ছোলা খাওয়া উচিৎ সবার। উচ্চমাত্রার আঁশ ও প্রোটিন সমৃদ্ধ ছোলে অসময়ের ক্ষুধাভাবকে খুব দ্রুত দূর করে। স্বাস্থ্যকর ফল ও সবজির সঙ্গে তেলবিহীন ছোলা রান্না প্রতিদিন অন্তত এক কাপ পরিমাণ খাওয়া প্রয়োজন।
ছোলা পরিপাকতন্ত্রের খারাপ ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে বলে পাকস্থলী সুস্থ থাকে। এছাড়া ছোলাতে আঁশ থাকার ফলে খাদ্য পরিপাক হয় খুব দ্রুত। যা কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যাকেও প্রশমিত করে।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, বিভিন্ন ধরণের মিনারেল ও ভিটামিন সমৃদ্ধ উপাদান হলো ছোলা। নিয়মতি ছোলা খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় খুব চমৎকারভাবেই। বিশেষত এতে থাকা ফলেট, জিংক, আয়রন ও ব্যালেন্সড pH এর মাত্রা শরীরকে সুস্থ রাখতে কাজ করে এবং ইনফেকশনের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে।
যেখানে চিনি ও রিফাইন্ড আটা-ময়দা রক্তে চিনির মাত্রা হুট করেই অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয়, সেখানে রক্তে চিনি খুব ধীরে মিশতে সাহায্য করে ছোলা। এই প্রক্রিয়ার ফলে অল্প বয়সে ডায়বেটিসের সমস্যা দেখা দেওয়া প্রতিরোধ করে ছোলা।
ছোলা মূলত শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এই খারাপ কোলেস্টেরল হৃদরোগের প্রধান কারণ। এছাড়া আঁশযুক্ত খাবার ছোলা ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করার ফলে আর্টারি সুস্থ থাকে এবং এর উপরে কোন বাড়তি চাপ পরে না।
ছোলায় থাকা ম্যাংগানিজ ও মলিবডেনাম ত্বকের বলিরেখা দেখা দেওয়া প্রতিরোধ করে এবং ত্বককে সুস্থ রাখতে ভেতর থেকেই কাজ করে। এমনকি ছোলা বাটাও ব্যবহার করা যায় ত্বকের প্রাকৃতিক স্ক্রাবার হিসেবে।
আরো পড়ুন: এই শীতে ডায়বেটিস থাকুক নিয়ন্ত্রণে
আরো পড়ুন: ফেলে দেবেন না লেবুর খোসা!