অতিরিক্ত চাপ শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। লেখালেখি চাপ নিয়ন্ত্রণের এমন এক অদ্ভুত উপায়, যেটা স্বাস্থ্যের উপর শারীরিক চাপের প্রভাব কমিয়ে দেয়। লেখালেখি মস্তিষ্ককে কাঙ্ক্ষিত অবস্থায় রাখে। এটি যে শুধু অনুধাবনের ক্ষমতা ও বুদ্ধিকেই বাড়িয়ে তোলে তাই কিন্তু নয়, একই সাথে মস্তিষ্কের ধারণক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
আর যেসব সুবিধা রয়েছে লেখালেখির-
১. জীবনকে আরো প্রাণবন্ত করতে চান? তবে লেখালেখির চেষ্টা করে দেখতে পারেন। এটির একটি অনন্য ফল হলো-আপনার মনকে ভালো রাখবে একই সাথে সর্বোপরি ভালো থাকতে সাহায্য করবে।
২. লেখালেখি মননশীলতাকে উজ্জীবিত করে তোলে। আত্মবিশ্বাস এবং নিজস্ব পরিচয়কে সমৃদ্ধ করে তোলে। নিজের খারাপ দিকগুলো নিয়ন্ত্রণ, পরিবর্তন এবং নজরে আনতে সহায়তা করে। মস্তিষ্ককে আবেগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৩. আপনি যখন কোনো কিছু লিখবেন, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জ্ঞান আরো সমৃদ্ধ হবে। সে বিষয়ে গবেষণার ফলে অনেক কিছু জানতে পারবেন। আপনার নিজস্ব বুদ্ধি, মতামত কে ফুটিয়ে তুলতে পারেন এর সাহায্যে।
৪. ঘুমানোর আগে যখন ভালো দিকগুলো নিয়ে ভাববেন, তখন আপনার চিন্তাভাবনা ভালো থাকবে। মন মেজাজ অস্থির হয়ে পড়বে না। উদ্ভট, অপ্রত্যাশিত চিন্তাভাবনাও জাগিয়ে রাখবে না।
৫. লেখালেখির দরূণ সৃজনশীল হয়ে ওঠার পথ সুগম হবে। আপনার চিন্তাভাবনা অনেক উন্নত হবে। পরিশ্রম আপনাকে আরো সৃজনশীল করে তুলবে। লেখালেখির স্বভাব পথভ্রষ্ট হতে দিবে না। এগিয়ে নিয়ে যাবে গন্তব্যের দিকে, প্রতিবন্ধকতাগুলো সরিয়ে।