ঘাম ও শরীরের দুর্গন্ধ এড়াতে ব্যবহার করা হয় ডিওডোরেন্ট। ঘামের দুর্গন্ধ দূর বা ত্বকের তেল নিয়ন্ত্রণ করা ছাড়াও আরও কিছু কাজে বেশ উপযোগী ডিওডোরান্ট।
কিন্তু এ ডিওডোরেন্টই বড় রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই ডিওডোরেন্ট কেনার আগে এর উপাদানগুলো ভালো করে দেখে নেয়া উচিত।
বেশির ভাগ ডিওডোরেন্টে অস্বাস্থ্যকর কিছু উপাদান থাকে। যা শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে। এ তালিকায় রয়েছে—প্যারাবিন, সালফেটের মতো উপাদান। এগুলো থাকলে সেই ডিওডোরেন্ট কিনবেন না। তা স্বাস্থ্যের বড় ক্ষতি করতে পারে।
ডিওডোরেন্ট কেনার যা খেয়াল রাখতে হবে—
দেখে নিন আপনার ডিওডোরেন্টে অ্যালুমিনিয়াম আছে কি-না? যদি থাকে, তাহলে বাদ দিতে হবে সেই ডিওডোরেন্টও। কারণ অ্যালুমিনিয়াম ঘর্মগ্রন্থির মুখ বন্ধ করে দেয়। ফলে শরীরের ঘাম হয় না।
সেই কারণেই ডিওডোরেন্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এতে ব্যাপকহারে ক্ষতিকর অ্যালুমিনিয়াম মিশিয়ে থাকেন। কিন্তু এটি পরবর্তীকালে আলঝেইমার রোগের বড় কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
অধিকাংশ ডিওডোরেন্টে বেকিং সোডা ব্যবহার করা হয়। ডিওডোরেন্টে ব্যবহৃত অন্য উপাদানগুলোর মতো সোডা ক্ষতিকারক না হলেও এটি ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।
যাদের ত্বক খুব স্পর্শকাতর, তারা ডিওডোরেন্ট কেনার আগে দেখেন নিন তাতে বেকিং সোডা আছে কি-না। থাকলে তেমন ডিওডোরেন্ট কেনা থেকে বিরত থাকুন।
কোন কোন উপাদান থাকলে ডিওডোরেন্ট কেনা উচিত নয়, তা তো জানা গেল। কিন্তু কোন কোন উপাদান থাকলে ডিওডোরেন্ট কিনবেন, সেটাও জেনে রাখা দরকার।
দেখে নিন আপনার ডিওডোরেন্টে ‘সিয়া বাটার’, ‘অ্যালোভেরা’-এর মতো প্রাকৃতিক উপাদান আছে কি-না। ক্ষতিকারক উপাদানগুলো বাদ দিয়ে এ উপাদানগুলো থাকলেই চোখ বন্ধ করে কিনে নিতে পারে সেই ডিওডোরেন্ট।