কোভিড-১৯ এর ভারতীয় ধরণ দেশে শনাক্ত হওয়ার পর থেকে প্রতিনিয়ত আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এদিকে প্রতি বছরের মতো দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল আজহা। মহামারীর মাঝে এটা দ্বিতীয় কোরবানির ঈদ। অনিশ্চিত অস্থির সময়ে এবারও ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা উদযাপন করবে ঈদুল আজহা।
ঈদ মানেই ব্যাস্ততা। ঈদের নামাজের পর পর পশু জবাই, মাংস বণ্টন, মজার সব রান্না করা, অতিথিদের আপ্যায়ন এবং নিজেকে সাজানো কতশত কাজ। তাই ব্যস্ততা কমাতে আগেভাগেই করে রাখুন কিছু কাজ। তাহলে আর ঈদের দিন বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হবে না।
যা যা করে রাখবেন আগে থেকেই—
১. ঈদের দিন অনেক অতিথি আসবে। তাই আগেভাগেই ঘরদোর গুছিয়ে রাখুন। জানালার পর্দা, কুশন কভার ইত্যাদি ধুয়ে ইস্ত্রি করে রাখুন। ইবাদতের জায়গা আর জায়নামাজ পরিষ্কার করুন। ঈদে উৎসবে ভালো চাদরটি বিছানায় বিছিয়ে দিয়ে ভালো পর্দাগুলো টাঙিয়ে দিন দরজা-জানালায়। যেন তাকালেই মন ভালো হয়ে যায়।
২. বাসার আনাচে কানাচের ধুলো ঝেড়ে নিন। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র হাতের কাছে রেখে কিচেন পরিষ্কার করে ফেলুন। ডাইনিং স্পেস আর ড্রয়িং রুম শোপিস, ফুলদানি দিয়ে সাজিয়ে ফেলুন।
৩. নিজের পোশাক আর বাচ্চাদের পোশাক রেডি করে রাখুন। পোশাকে কোনো ধরণের কাজ বাকি থাকলে দর্জির কাছ থেকে ঠিক করিয়ে আনুন। নয়ত ঈদের শেষ মূহুর্তে দর্জিদের কাজের চাপ বেড়ে যাবে।
৪. ঈদের রান্নায় কোন কোন রেসিপি রাখবেন এখনই ঠিক করে নিন। তার জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছু লিস্ট করে বাজার থেকে আনিয়ে রাখুন। মশলা গুঁড়া করে কিংবা বেটে রাখুন। প্যাকেটজাত দুধ, কোল্ড ড্রিংকস, জ্যুস, আইসক্রিম ইত্যাদি এনে ফ্রিজে রেখে দিন।
৫. কোরবানির ঈদে পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে বিশেষ নজর রাখা দরকার। এসময় পশুর রক্ত ও বর্জ্য জমে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হতে পারে। ছড়াতে পারে মারাত্মক সব রোগ-জীবাণুও। তাই এসব বর্জ্য পরিষ্কারের ব্যবস্থা আগে থেকেই ঠিক করে রাখুন।