কিছু মানুষ আছে যাদের সব সময় সুখী মনে হয়। এটির অন্যতম কারণ বংশাণু বা জিন। ক্যালিফোর্নিয়ার সান্টা মনিকার সুসান জিন থেরাপির সাইকোথেরাপিস্ট সুসান জিনের মতে, আপনি কতটা আনন্দে থাকবেন তার ৪০% নির্ভর করে বংশাণু বা জিনগুলোর উপর।
বিভিন্ন ধরণের সুখ-
জীবনে সন্তুষ্টি মনের উপর নির্ভর করে। কারণ এটি আপনার অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের অভিজ্ঞতার মাধ্যমেই আসে। যদি আপনার জীবনে কোনও ট্রমাজনিত অতীত ঘটে থাকে; তবে সম্ভবত ভবিষ্যতও একইরকম হবে বলে মনে করেন। তবে আপনি চাইলে এগিয়ে যাওয়ার মতো অনেক কিছুই করতে পারেন।
আপনার কাজ, সম্পর্ক এবং অবসর সময় ভালোভাবে কাটান। তবেই আপনি আরও সুখী বোধ করতে পারবেন।
এটি আপনার লক্ষ্য, আকাঙ্ক্ষা বা অন্যকে সহায়তা করার জন্য আপনি যা করেন তার সমষ্টি। এটি একটি সুখী জীবন যাপনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক।
২০১১ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ৫-এইচটিটিএলপিআর নামক একটি বিশেষ জিন জীবনের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করে। ২০১৬ সালে পরিচালিত আরেকটি সমীক্ষা আনুষ্ঠানিকভাবে জেনেটিক্সের সাথে সুখকে সংযুক্ত করে। সমীক্ষা আরও বলে, তিন ধরণের জেনেটিক সুস্থতার সাথে জড়িত।
সুখি থাকতে যা করণীয়-
বলা হয়ে থাকে অন্যের জন্য কিছু করা বা তাদের সহায়তা করা আপনাকে সুখি করতে পারে। তাই সুখি হতে অপরের জন্য কাজ করুন।
আমরা সকলেই জানি কেবল শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও শরীরচর্চা প্রয়োজনীয়। কারণ এটি ভাল হরমোনের ডোপামিন অনুভূতি প্রকাশ করে।
একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েট আপনার আত্মবিশ্বাস, স্বাস্থ্য এবং সুখের উপর বিশাল প্রভাব ফেলতে পারে। ২০১২ সালের সমীক্ষায় দেখা গেছে, উদ্ভিদ ভিত্তিক ডায়েট আপনার মানসিকতা উন্নত করতে পারে।
বলা হয় যে প্রকৃতির মাঝে সময় ব্যয় করলে স্ট্রেস হ্রাস হয়। এবং নিজের সাথে নিজেকে অনুভব করতে সহায়তা করে।
যারা ছোট ছোট বিষয়গুলোতেও রসিকতা খুঁজে পায় তারা অন্যের চেয়ে তূলনমূলক বেশী সুখী হয়। সে কারণেই হাসিখুশি থাকা ভালো থাকার দুর্দান্ত উপায়।