যুবলীগের কেন্দ্রীয় সমবায় সম্পাদক জিকে শামীমের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তার সাত সহযোগী চার দিন করে আট দিনের রিমান্ড আদেশ দেওয়া হয়েছে। মাদক ও অস্ত্র মামলায় এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। শামীমের নামে মানি লন্ডারিংয়ের মামলাও রয়েছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৮টার দিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক বেগম মাহমুদা আক্তার এ রিমান্ড আদেশ দেন।
আদালতে আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুর রহমান হাওলাদার। প্রসিকিউশন পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আজাদ রহমান ও হেমায়েত উদ্দিন খান হিরন।
এর আগে বেলা ৩টার দিকে জিকে শামীম ও তার সাত বডিগার্ডকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করে র্যাব। গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাদেক জানান, জিকে শামীমসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও মানি লন্ডারিংয়ে তিনটি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জিকে শামীমের বিরুদ্ধে র্যাবের তিন মামলা
গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর নিকেতনে তার ব্যবসায়িক কার্যালয় জি কে বিল্ডার্স থেকে শামীমকে আটক করা হয়।
জানা যায়, এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম ‘শামীম ঠিকাদার’ নামে পরিচিত। রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় শামীম ঠিকাদারি কাজ করে থাকেন। শুধু তাই নয় গণপূর্ত ভবনের বেশি ভাগ ঠিকাদারি কাজ করেন তিনি। বিএনপি-জামায়াত শাসনামলেও গণপূর্তে এই শামীমই ছিলেন ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি। সেই জিকে শামীম এখন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক।
আরও পড়ুন: যুবলীগ নেতা শামীমের অফিসে মাদক ও টাকার স্তুূপ
এর আগে অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে র্যাবের হাতে আটক হয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। অস্ত্র ও মাদকের পৃথক দুই মামলায় তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।