বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর ৬ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে তাকে আদালতে আনা হয়। এদিন মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের রমনা জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিপ তাকে দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ইমরান আহম্মেদ তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে আমির হোসেন আমুকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আমুর বিরুদ্ধে হত্যাসহ ১৫টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। তিনি ১৪ দলের সমন্বয়ক ছিলেন।
মামলা থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই বিকেলে নিউমার্কেট থানাধীন নীলক্ষেত এলাকায় পুলিশের গুলিতে ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ মারা যান। এ ঘটনায় তার শ্যালক আব্দুর রহমান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এর আগে গত ১৮ আগস্ট ঝালকাঠি-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্যের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়। একইসঙ্গে তার সন্তান এবং তাদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করা হয়।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ঝালকাঠির আমুর বাসবভনে আগুন ধরিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। পরে তার ওই বাসভবন থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকার দেশি-বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ষাটের দশকের ছাত্রলীগ নেতা আমির হোসেন আমু ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বরিশাল থেকে প্রাদশিক পরিষদের সদস্য হয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর পাঁচবার এমপি নির্বাচিত হন।