কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রায়ে ৪ সপ্তাহের স্থিতাবস্থা

, আইন-আদালত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-07-10 15:27:58

নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা সুবিধা পুনর্বহাল সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের ওপর চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

বুধবার (১০ জুলাই) বেলা ১১টায় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।

আইনজীবীরা বলছেন, হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র বহাল থাকছে।

রায় ঘোষণা শেষে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

প্রধান বিচারপতি বলেন, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল আবেদনের শুনানির সময় আমরা সংক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের আইনজীবীদের মাধ্যমে যুক্তি শুনব।তিনি বলেন, অনেক হয়েছে, রাস্তা থেকে ক্লাসে যান।

এর আগে, মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন। শুধু এই মামলার শুনানির দিন ধার্যের জন্য চেম্বার বিচারপতির আদালত বসেছিলেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীও হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানিও একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়।

গত ৯ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন। এদিন দুপুরে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম আজকে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন।

কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের পর থেকে কোটাবিরোধী আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। সরকারি চাকরিতে কোটা-ব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দফা দাবিতে গত সপ্তাহ থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক-মহাসড়ক-রেলপথ অবরোধ করছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার থেকে শুরু করেছেন ‘বাংলা ব্লকেড’। এতে দিনে কয়েক ঘণ্টার জন্য রাজধানীর অনেক প্রধান সড়ক বন্ধ থাকছে। একই অবস্থা বিভিন্ন মহাসড়ক ও রেলপথে। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন মানুষ। এ ছাড়া সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের দাবিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর