সারাবিশ্ব যখন করোনা জ্বরে কাঁপছে তখন সেখানে করোনার থাবা থেকে কী করে বাঁচতে পারে পশ্চিমবাংলা? তবে বাঙালিরা একটু ভিন্ন পথেই হাঁটে। তাই একঘেয়ে লকডাউন করোনারা ক্লেশ কাটাতে বানিয়ে ফেলেছে করোনা মিষ্টি। আর তা দোকানে আসা মাত্রই দেদারসে বিক্রি হচ্ছে।
সিদ্ধান্ত হয়েছিল দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউনে বন্ধ থাকবে রাজ্যের সমস্ত মিষ্টির দোকান। কিন্তু দুধ নষ্ট হওয়ার ভয়ে ২৯ মার্চ হঠাৎ সিদ্ধান্ত হয় এবার থেকে খোলা থাকবে পশ্চিমবঙ্গের মিষ্টির দোকানগুলো। তবে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
এরপর থেকেই দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকছে কলকাতা মিষ্টির দোকানগুলো। অভিনব মিষ্টি পেয়ে খুশি কলকাতার বাঙালিরা। দেদারসে বিক্রি হচ্ছে এসব মিষ্টি। মাত্র ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই শোকেস ফাঁকা। শুধু করোনা সন্দেশই নয়, পাশেই রাখা রয়েছে করোনা কেকও। তারই বিক্রি হার মানিয়েছে অন্যান্যদের।
কলকাতা শহরের প্রসিদ্ধ মিষ্টির দোকান হিন্দুস্তান সুইটসের কর্ণধার রবীন পাল বলেন, ‘গোটা দেশে আলোড়ন ফেলে দেওয়া করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক এখন সর্বত্র। তাই এই আতঙ্কের আবহে সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে তৈরি করা হয়েছে এই বিশেষ করোনা সন্দেশ ও কেক করা হয়েছে।’
এছাড়া দক্ষিণ কলকাতার আরও একটি দোকান যাদবপুর সুইট। তারা মিষ্টির নাম দিয়েছে অ্যান্টি করোনা সুইটস। সেখানেও দেদারসে বিক্রি হচ্ছে মিষ্টিটি। মিষ্টি খাইয়ে তো বটেই, এমনকি মিষ্টির প্যাকেটেও করোনা সম্পর্কে সচেতনতার বার্তা প্রচার করা হচ্ছে বলেও জানাচ্ছেন ওই ব্যবসায়ীরা।