পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যু হলো। সোমবার (২৩ মার্চ) কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান ওই ব্যক্তি।
সূত্রের খবর, তিনি কয়েক সপ্তাহ আগে অন্য রাজ্যে গিয়েছিলেন। পরে অসুস্থ হলে রক্তের নমুনা পরীক্ষা করলে তার শরীরে করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে। চিকিৎসকদের প্রাথমিক অনুমান সেখান থেকেই সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন তিনি। এই নিয়ে ভারতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৮ এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪২৫ জনে।
হাসপাতাল সূত্রে জানায়, দমদমের বাসিন্দা ৫৫ বছরের ওই ব্যক্তির ১৩ মার্চ থেকে জ্বর-সর্দি-কাশির উপসর্গ দেখা দেয়। এরপর ১৬ মার্চ সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। সোমবার দুপুরে তিনি মারা যান।
ওই ব্যক্তির পরিবারের ৮ জন একই হাসপাতালে ভর্তি আছেন। করোনায় মৃত রোগীর যেন দ্রুত সৎকার হয় তার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
গোটা ভারতে পরিস্থিতি ভয়াবহ হচ্ছে ক্রমশ। স্টেজ থ্রির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে ভারত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন প্রবীণরা। বয়স্কদের শরীরে রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতা কম হওয়ায় যে কোনো সংক্রমণের ভয়াবহতাও বেশি তাদের ক্ষেত্রে।
এদিন বিকেল ৫টা থেকে ২৭ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত লকডাউন হয় গোটা কলকাতা। রাস্তায় পুলিশ নামানো হয়েছে। এ সময় অহেতুক রাস্তায় বের হলে ১ হাজার রুপি জরিমানা বা ছয় মাস জেল হবে এমনই নির্দেশ দেন মমতার প্রশাসন।
এই সময়ের মধ্যে রাজ্যে কোনও গণপরিবহণ চলবে না। বন্ধ থাকবে সব দোকান, অফিস, কল কারখানা, গোডাউন। তবে খাদ্য ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বহনকারী গাড়িগুলোকেও ছাড় দেওয়া হবে। পাওয়া যাবে সবজি, ফল, মাছ-মাংস, দুধ, পাউরুটিও লকডাউন চলাকালীনও।