রোজ সকালে গানের সঙ্গে মন ভালো করা আলাপে ভরিয়ে দেন তিনি। আকাশ টিভির 'গুডমর্নিং'-এর সবার চেনা রিনি। দূরদর্শন, তারা, জিটিভি ঘুরে সঞ্চয় করেছেন অনেক অভিজ্ঞতা আর জনসংযোগ। এপার, ওপার বাংলা ছাড়িয়ে বিশ্বময় বাংলা ও বাঙালির প্রিয়মুখ তিনি।
নোভেল করোনাভাইরাস নিয়ে জনসচেতনতায় নেমেছেন এই জনপ্রিয় মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। রোববার (২২ মার্চ) সকালে অনলাইনে আলাপ হলো রিনির সঙ্গে। সতর্ক থাকার পরামর্শ দিলেন। জানলাম, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকেও খোলা চিঠি লিখেছেন তিনি।
‘মাননীয় দিদি’ সম্বোধন করে সেই খোলাচিঠিতে রিনি লিখেন, ‘আপনি আমার সাধুবাদ নেবেন, কোনো প্রকার রাজনীতির সঙ্গে আমি যুক্ত নই, ছিলাম না কোনোদিন। করোনার সঙ্গে অসম যুদ্ধ, কড়া হাতে, অক্লান্তভাবে আপনি লড়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ঘরবন্দী হয়ে, নিরাপদ আশ্রয়ে, সেটি প্রত্যক্ষ করছি, আর ভাবছি, আপনি নিজে ভালো আছেন তো? আপনার সঙ্গে আপনার সহযোদ্ধারা? সব রকম ইমার্জেন্সি সার্ভিসের মানুষেরা, যারা আমাদের জীবনের নানা প্রয়োজন সামলান? আপনার ও আপনাদের সর্বতোপ্রকার সুস্থতা কামনা করি। সনির্বন্ধ অনুরোধ রাখি, রাজ্যটিকে কয়েকদিনের জন্য একেবারে স্তব্ধ করার ব্যবস্থা করুন। তাছাড়া উপায় নেই।’
কথা হলো বাংলাদেশ নিয়েও। জানালেন, নস্টালজিয়ার কথা। বললেন, ‘বাবা এই কথাটা খুব বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর দেশের মানুষ’। হ্যাঁ, বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের সুমৃত্তিকায় মিশে আছে তার পিতৃ-শেকড়। বৃহত্তর ফরিদপুরের প্রমত্তা পদ্মা বিধৌত চিরায়ত বাঙলার সংস্কৃতি তার অস্তিত্বের অংশ।
মায়ের দিক থেকে মেঘনা-তিতাসের স্রোত কথা বলে রিনির চৈতন্যে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মায়ের বাড়িতে ঘুরেও গেছেন অনেক বার।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির প্রাক্তনী রিনি জন্ম ও বেড়ে উঠার পরিধিতে মহানগর কলকাতার উজ্জ্বল জাতিকা। পড়েছেন দক্ষিণ কলকাতার আলীপুর মাল্টিপারপাস বালিকা স্কুলে। আর এখন, গঙ্গা তীরের আদি ও অকৃত্রিম কলকাতায় বসবাস। রিনি আমুণ্ডু জড়িয়ে আছেন অসীমান্তিক বাংলায়। ছুঁয়ে আছেন অপরূপ প্রকৃতির বাঙলা ও বাঙালির মননের অন্তর্মূল।