করোনা আতঙ্কে বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ হয়েছে ভারতীয় ভিসা। একইভাবে সরকারি নির্দেশনা জারি না হলেও কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনও সহজে দিতে চাইছে না ভারতীয়দের ভিসা।
এ প্রসঙ্গে হাইকমিশনার তৌফিক হাসান বলেছেন, বিশ্বব্যাপী ভয়ঙ্কর সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। মানুষের জীবন আগে। তাই খুব প্রয়োজন না থাকলে আমরা ভারতীয় ভিসা আবেদনকারীদের বাংলাদেশের ভিসা দিচ্ছি না।
করোনা আতঙ্কে সিল করা হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনে ১৫ মার্চ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করে দেওয়া হল মৈত্রী এবং বন্ধন এক্সপ্রেস। পাশাপাশি শুক্রবার বিকাল থেকে ঢাকা-কলকাতা রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন পরিবহন মালিকরা।
ভারত-বাংলাদেশ বিমান পরিষেবাও সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা রয়েছে। যতটা জানা গেছে, শুধুমাত্র রিজেন্ট এয়ারওয়েজ চলাচল করবে ১৫ মার্চ পর্যন্ত। এরপর ডিমান্ড অনুযায়ী তারা ওয়ানওয়ে রুট বিমান পরিষেবা দিতে পারে। সেটা হবে কলকাতা টু ঢাকা।
ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮৩ জন। ইতিমধ্যেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে কর্ণাটক ও দিল্লিতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দিল্লি, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটকে সমস্ত স্কুল, সুইমিংপুল, জিম, প্রেক্ষাগৃহ, পার্ক বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এরপরই এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে পশ্চিমবঙ্গেও সোমবার থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
এছাড়া শনিবার থেকে বন্ধ করে দেওয়া হলো বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ক্লাস এবং পরীক্ষা। এমনকি হোস্টেলও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।