নভেলা করোনাভাইরাসের কারণে সীমান্তজুড়ে জারি করা হয়েছে কড়া সতকর্তা। করোনা ঠেকাতে বিমানবন্দরের আদলে বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্তসহ স্থলপথে প্রায় প্রতিটা সীমান্তে চলছে কড়া নজরদারি। ভারতে প্রবেশ করার পূর্বে বাংলাদেশিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে সীমান্তের ইমিগ্রেশনগুলোতে।
বাংলাদেশ থেকে যারা ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করছেন, তাঁরাও বয়ে আনতে পারেন করোনাভাইরাস। তাই কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় মমতা সরকার। সেকারণে বিমানবন্দরের ধাঁচেই রাজ্যের বাংলাদেশ সীমান্তে, স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির চলছে। জেলা স্বাস্থ্যদফতর থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সম্প্রতি কলকাতা বিমানবন্দরে ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে একজন বাংলাদেশি মহিলাকে কলকাতার বেলেঘাটায় সরকারি হাসপাতাল আইডি-তে ভর্তি করা হয়েছিল। জানা গিয়েছিল ওই মহিলার স্বামী দুবাই থেকে ফিরেছেন।
এরপরই রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার আরও তৎপর হয়েছে। ফলে এ বিষয়ে স্থলপথ ও রেলপথে আরও নজরদারি বাড়ানো হবে বলে রাজ্য সরকার সূত্রে জানা যায়।
তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশিরা যথেষ্ট সহযোগিতা করছেন বলে জানা গিয়েছে। কলকাতায় বেড়াতে আসা ইশতেয়াক সুজন বলেন, আমাদের মধ্যেও তো একটা আতঙ্ক কাজ করছে। তাই সুরক্ষার জন্য সহযোগিতা তো করবোই। এছাড়া নিজের সুরক্ষার জন্য মাস্কও ব্যবহার করছি। ১২ মার্চ পর্যন্ত কলকাতায় থাকব। তারপর ফিরে যাব।
ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈধভাবে যারা বাংলাদেশ থেকে আসছেন, তাদের সকলেরই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে পেট্রাপোল সীমান্তে এখনও পর্যন্ত কারও শরীর থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মেলেনি। শুক্রবার নবান্নে করোনা প্রতিরোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে রাজ্যের সমন্বয় বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, করোনা নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার বদলে সচেতনতা বাড়িয়ে বিষয়টি নিয়ে সতর্ক হওয়া উচিত।
‘হাঁচি, কাশি, সর্দি মানেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তা নয়। বরং সতর্কতা অবলম্বন করলে অনেকটাই নিরাপদ থাকা যায়। আক্রান্ত হলে কীভাবে নাক-মুখ ঢাকতে হবে এবং স্যানিটাইজারে বারবার হাত ধুতে হবে, তাও সাংবাদিক সম্মেলনে জানান মুখ্যমন্ত্রী।