বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রথম পতাকা উত্তোলন হয় বর্তমান কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে। সেই প্রাঙ্গণে অতি উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ৪৯তম মহান বিজয় দিবস পালিত হলো।
উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। এরপর বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে এ উপ-হাইকমিশনের কাউন্সিলর (কন্স্যুলার) মো. বশির উদ্দিন, প্রথম সচিব (প্রেস) মো. মোফাকখারুল ইকবাল, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক-২) শামীমা ইয়ামিন স্মৃতি এবং দ্বিতীয় সচিব (কন্স্যুলার) শেখ শাফিনুল হক।
এরপর দিনটির উপলক্ষে বিশেষ মোনাজাত করা হয় উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে। মোনাজাত পরিচালনা করেন মিশনের মসজিদের ইমাম। এরপর বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত ইসলামিয়া কলেজে বেকার হোস্টেলে 'বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষে' স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় এবং বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এছাড়া ১৬ ডিসেম্বর দিনটি বাংলাদেশের কাছে যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনই ভারতের কাছে। এই দিনে ভারতের মাটিতে ফিরে আসে ইতিহাসের এক অমর সময়। গভীরভাবে স্মরণ করা হয় মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় সেনাদের। বাংলাদেশের সঙ্গে একই ভাবে মর্যাদায় সাথে ভারতীয় সেনাবাহিনী এই দিনটিকে পালন করে।
সোমবার ভারতীয় সেনাবাহিনী পূর্বাঞ্চল শাখা ফোর্ট উইলিয়ামে জল, স্থল এবং অন্তরিক্ষ বিভাগের সেনারা শ্রদ্ধা জানান শহীদ বেদীতে। শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানান ৩০ জন বাংলাদেশী মুক্তিযোদ্ধা এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিরা। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা তথা সাবেক নৌ মন্ত্রী শাহজান খান।
এছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বর অর্থাৎ তিন দিনব্যাপি ‘বাংলাদেশ-এর বিজয় উৎসব’ অনুষ্ঠিত হবে। উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান-এর সভাপতিত্বে বিজয় উৎসবের উদ্বোধন হবে ১৭ ডিসেম্বর।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। এছাড়া প্রতিদিন থাকবে বাংলাদেশের খ্যাতনামা শিল্পীদের (সৈয়দ আব্দুল হাদি, ফাহমিদা নবি, ঝুমা খন্দকার, অতিদিতি মহসিন, আব্দুল হালিম খান, মাহবুবুর রহমান সবুজ এবং আসগর আলীম) পরিবেশনায় থাকবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এছাড়া প্রতিদিন থাকবে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোকচিত্র, তথ্যচিত্র ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। সাথে প্রতিদিন থাকবে দুই দেশের প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের অংশগ্রহণে আলোচনা অনুষ্ঠান।