এবার মোবাইল ফোনের নির্দিষ্ট অ্যাপের মাধ্যমে বজ্রপাতের পূর্বাভাস দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর। এর জন্য দেশজুড়ে প্রথম পর্যায়ে যে ৪৮টি সেন্সর(লাইটনিং লোকেশন নেটওয়ার্ক) বসানো হয়েছে, তার তিনটি বসেছে পশ্চিমবঙ্গে। কলকাতা, বীরভুম ও দার্জিলিং -এ ওই তিনটি সেন্সর বসানো হয়েছে।
দ্বিতীয় দফায় ভারতে আরও যে ৩৫টি বসানো হবে, তার মধ্যেও দুই-তিনটি বসবে পশ্চিমবঙ্গেই। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যে সব এলাকায় বজ্রপাতের প্রবণতা বেশি, সেখানে ওই সেন্সর বসানো হচ্ছে।
এই কাজ করছে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা পুনের ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল মেটিরিওলজি। তারাই দামিনী নামে একটি মোবাইল অ্যাপ চালু করেছে। গুগল স্টোর থেকে স্মার্টফোনে এটি ডাউনলোড করা যাবে। যে এলাকায় সেন্সর বসানো হয়েছে, তার ৪০ কিলোমিটার ব্যাসের মধ্যে ওই অ্যাপ থেকে ৫ থেকে ১৫ মিনিট আগে বাজ পড়ার সতর্কতা জারি করা হবে। ঠিক কোন বাড়িতে বা পাড়ায় বাজ পড়বে, তা জানা না গেলেও ওই বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা দামিনীর বার্তা জেনে সম্ভাব্য বজ্রাঘাত থেকে বাঁচার জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে পারবেন বলে আবহাওয়াবিদরা আশা করছেন।
এখনও ভারতে ঘূর্ণিঝড়ে যত মানুষের মৃত্যু হয়, তার থেকে অনেক বেশি মানুষ মারা যান বজ্রপাতে। গত বছরও সারা দেশে বাজ পড়ে দু’হাজারের বেশি মানুষ মারা যান। দেশের যে সব এলাকায় বজ্রপাত বেশি হয়, তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ অন্যতম। গত বছর থেকে দেশে বজ্রপাতের নির্দিষ্ট পূর্বাভাস আরও ভালোভাবে দেওয়ার জন্য উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশজুড়ে সেন্সর যন্ত্র বসানোও শুরু হয়। অ্যাপ চালু করা হয়। মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত সময়ে কালবৈশাখীর মরশুমে বজ্রপাত তুলনামূলকভাবে বেশি হয়। সেই সময়ও এসে গিয়েছে। এই সময় দামিনী অ্যাপ যথেষ্ট সহযোগি হবে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।