প্রতি বছরই বইমেলায় নতুন নতুন বই প্রকাশিত হয় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মূখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রাপ্য সম্মানী ও সাবেক সাংসদ হিসাবে প্রাপ্য সম্মানী গ্রহণ করেন না তিনি। নিজের লেখা বই থেকে যে সম্মানী পান তা দিয়েই চলেন মমতা।
বৃহস্পতিবার বিধাননগরের সেন্ট্রাল পার্ক মেলা প্রাঙ্গণে ৪৩তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'সাত বার এমপি ছিলাম। সেই বাবদ মাসে আমি এক লাখ টাকার কাছাকাছি পেনশন পেতে পারি। গত সাত বছর ধরে আমি বিধায়ক ও মুখ্যমন্ত্রীর পদেও আছি। ফলে বেতন বাবদও আমার মাসে এক লাখ টাকার মতো পাওয়ার কথা। সব মিলিয়ে দুই লাখ টাকা। কিন্তু আমি এক পয়সাও নেই না।' মমতা জানান, 'বই লিখে যা রয়্যালটি পাই আর গানে সুর দিয়ে আমি যা পাই, তা দিয়েই আমার চলে।' মুখ্যমন্ত্রীর ভাষ্যে, 'ক্যাসুয়াল ভাবে লিখি। মুখবন্ধ অনেক সময় ফোনেই বলে দিই।'
বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে বইপ্রেমীদের উদ্দেশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বই বৃদ্ধি হোক। আগের দিনে বলা হতো বংশবৃদ্ধি হোক। আমি বলি বই বৃদ্ধি হোক। বইয়ের সংসার বড় হোক।"
বৃহস্পতিবার বইমেলার মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা সাতটি বই প্রকাশিত হয়েছে। এ যাবৎ ৮৭টি বই লিখেছেন তিনি। মমতা জানিয়েছেন, 'আগামি বছর আরও ১৩টি বই লিখে ১০০ বই পূর্ণ করবেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবছর যে বইগুলি লিখেছেন, সেগুলো হলো: 'নামাঞ্জলি', ছোটদের ছড়ার বই 'শিশুদোলা', কবিতার বই 'আমি', উর্দু শায়েরির বই 'ইনসাফ', ইংরেজি কবিতার বই 'মাইসেল্ফ', প্রবন্ধ সঙ্কলন 'বিপন্ন ভারত' ইত্যাদি।