পশ্চিমবঙ্গে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তর সংখ্যা যথেষ্ট আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। গত তিনদিনে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সোমবার(৩ জানুয়ারী) রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুয়ায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে ৬ হাজার ৭৮ জন। এর আগে শনি ও রোববার যথাক্রমে আক্রান্তর সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৫০০ এবং ৬ হাজার ১৫৩ জন। ওমিক্রন আক্রান্ত ২০ জন।
পাশাপাশি রাজ্যের নিরিখে কলকাতা জেলায় শনাক্তের হার সবচেয়ে বেশি। সোমবারের (৩ জানুয়ারি) সরকারি তথ্য অনুযায়ী, কলকাতায় নতুন আক্রান্ত ২ হাজার ৮০১ জন।
রোববার (২ জানুয়ারি) সংখ্যাটা ছিল ৩ হাজার ১৯৪ জন। সেই সঙ্গে রাজ্যের আরও ১৩ জেলায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি অনেকটা বাড়ল উত্তর ২৪ পরগনায়। ওই জেলায় নতুন করে সংক্রমিত ১ হাজার ৫৭ জন। তবে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সামান্য কমে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৪০ জন।
শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। এরমধ্যে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনার ৪ জন করে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১ জনের। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন ১৯ হাজার ৭৯৪ জন। সোমবার সংক্রমণমুক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৯১৭ জন। এদিনের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে টিকা পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৩৭২ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে টিকাকরণ হয়েছে ১০ কোটি ৫০ লাখ ৫৯ হাজার ৬৪৭ জন।
সোমাবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের সব স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। পাশপাশি বন্ধ থাকবে সুইমিং পুল, স্পা, বিউটি পার্লার, সেলুন এবং পর্যটনকেন্দ্রগুলো। রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত গাড়ি চলাচল ও রাস্তায় যাতায়াত নিষিদ্ধ। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবায় ছাড় থাকছে।
এই আবহে এদিন থেকেই ভারতে ১৫-১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের একাধিক স্কুলগুলিতে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হয়েছে। এদিন কলকাতার ১৬টি স্কুলে টিকা দেওয়া হয়েছে। এর সাথে এদিন থেকে কলকাতায় শুরু হলো কনটেনমেন্ট জোন। এদিন শহরের ২৫ টি এলাকা কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় আনা হয়েছে।