মমতার সম্মানের লড়াই, শুরু হলো দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) একইসঙ্গে উপনির্বাচন চলছে মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর কেন্দ্রে। কিন্তু রাজ্য ছাড়িয়ে ভবানীপুরের ৮টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত বিধানসভায় উপনির্বাচন সর্বভারতীয় রাজনীতিতেও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী থাকতে হলে শপথের ছয় মাসের মধ্যে তাঁকে বিধানসভায় সদস্য হতেই হবে। এই প্রেক্ষাপটে ভবানীপুরের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ফলে বহু টানাপোড়েন শেষে উপনির্বাচন হচ্ছে দক্ষিণ কলকাতার এই কেন্দ্রে।
এদিনের ভোট তৃণমূল নেত্রীর কাছে কার্যত ‘মরণ-বাঁচন’ লড়াই। প্রচারেও সব ভোটারদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এই কেন্দ্র থেকে জয় পেলেই তবে টিকে থাকবে মুখ্যমন্ত্রীর কুরশি। না হলে চিরতরে হারাতে হবে এই পদ।
মমতার বিরুদ্ধে এবার বিজেপির প্রার্থী অবাঙালি লড়াকু নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। কংগ্রেস প্রার্থী না দিলেও লড়ছে বামেরা। ভবানীপুরের উপনির্বাচনে বাম প্রার্থী তরুণ মুখ শ্রীজীব বিশ্বাস।
প্রাথমিকভাবে এই কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ১৫ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সেই সংখ্যাটা আরও ২০ কোম্পানি বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ শুধু ভবানীপুরেই ৩৫ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
ভোটের ফল জানা যাবে ৩ অক্টোবর।