মুসলিম উম্মাহর কেবলা কাবা শরিফ। এটি মুমিন-মুসলমানের সবচেয়ে প্রিয় ও পবিত্র স্থান। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতি বছর কাবার জিয়ারতে আসেন লাখ লাখ মুসলিম।
কাবার তাওয়াফ একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। হজ ও উমরার সময় তাওয়াফ অপরিহার্য। এছাড়া নফল তাওয়াফ করা যায়। কাবা তাওয়াফরত এমন মানুষের ছবি তুলে হামদান বিন মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম ইন্টারন্যাশনাল ফটোগ্রাফি অ্যাওয়ার্ডস জিতে নিলেন সৌদি আরবের আবদুল্লাহ আল সাথরি।
হামদান বিন মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম ইন্টারন্যাশনাল ফটোগ্রাফি অ্যাওয়ার্ডসের নবম আসরে মোবাইল ফটোগ্রাফি ক্যাটাগরিতে তৃতীয় পুরস্কার লাভ করেছেন তিনি।
আল সাথরি পবিত্র কাবার তাওয়াফরত মুসল্লিদের ছবি তুলে এই পুরস্কার জিতেছেন। তিনি তার ছবির নাম দিয়েছেন ‘স্পিরিচুয়ালিটি অব কালারস’ বা রঙের আধ্যাত্মিকতা।
দীর্ঘদিন যাবত ফ্রিল্যান্সার ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করা আল সাথরি বলেন, তাওয়াফরত হাজিরা যেন রঙের বর্ণালি সৃষ্টি করেছেন। এটাই ছবিতে প্রকাশ পেয়েছে।
মোবাইল ফটোগ্রাফি ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন ভারতের অপ্রতীম পাল এবং দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন ইন্দোনেশিয়ার ফটোগ্রাফার বুদি গুনাওয়ান।
এ বছর প্রতিযোগিতার মূল বিষয় ছিল পানি। তবে প্রতিযোগীদের জেনারেল, পোর্টফোলিও এবং মোবাইল ফটোগ্রাফি এই তিনটি ক্যাটাগরিতেও ছবি জমা দেওয়ার সুযোগ ছিল।
এর আগেও কাবা ঘরের নামাজের অসাধারণ দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করে আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছিলেন সৌদি আরবের আলোকচিত্র শিল্পী আম্মার আল আমির। আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র সংগঠন ‘সিয়ানা’ কাবা শরিফের নামাজরত মুসল্লিদের ওই ছবিকে ‘উত্তম চরিত্র’ ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ ছবির মর্যাদা দেয়। ইতালিতে অনুষ্ঠিত হয় এ আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র প্রদর্শনীটি।
তার ছবিতে দেখা যায়, সাদা ইহরামের পোশাক পরিহিত অত্যন্ত বিনয়াবনত হয়ে নামাজ আদায়ের জন্য দাঁড়িয়ে আছেন হজ ও উমরা পালনকারীরা।