ইবাদত-বন্দেগি, নামাজ ও তাওয়াফের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে পবিত্র কাবা। মক্কা-মদিনা নগরীও ফিরছে স্বাভাবিক জীবনে। লাখো মুসল্লির মনোবাসনা পূর্ণ হতে যাচ্ছে।
পবিত্র নগরী মক্কায় লকডাউন পরিস্থিতি শিথিল করার জন্য দুই ধাপের পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে সৌদি আরবের সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৮ মে) সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুই ধাপে মক্কার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফেরানোর চেষ্টা করা হবে। যার প্রথম ধাপ শুরু হবে ৩১ মে, রোববার থেকে।
এদিন থেকে সকাল ছয়টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত মক্কা নগরীতে প্রবেশ ও নগরী থেকে বের হওয়া যাবে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
মসজিদে হারাম (কাবা)ও মসজিদে নববীতে শুক্রবারের জুমার নামাজ ও অন্যান্য নামাজ আদায় করা যাবে। তবে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে অনুরোধ করা হয়েছে মুসল্লিদের। নামাজের প্রতি কাতারের মাঝে এবং প্রত্যেক মুসল্লির মাঝখানে নিরাপদ দূরত্ব রাখতে বলা হয়েছে।
আর এই প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপ শুরু হবে ২১ জুন থেকে। এদিন থেকে নাগরিকরা বাসা থেকে বের হতে পারবেন সকাল ছয়টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। তবে সেলুন বা এই জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এখনই খোলার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। জানাজা কিংবা বিয়ের অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ ৫০ জন অংশ নিতে পারবেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান নগরী থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস আঘাত হেনেছে বিশ্বের ১৮৮টি দেশে। সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পর থেকেই সৌদি আরবে কঠোর লকডাউন ও কারফিউ ঘোষণা করা হয়।
বুধবার (২৭ মে) থেকে দেশটির অধিকাংশ জায়গায় লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। এবার ঘোষণা করা হলো- পবিত্র নগরী মক্কার দুই ধাপের লকডাউন শিথিল করার পরিকল্পনা।
তবে হজ ও উমরার জন্য এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। ধারণা করা হচ্ছে, এ বিষয়েও ইতিবাচক ঘোষণা দেওয়া হবে অচিরেই। তবে সৌদি সরকার এখন উমরার চেয়ে হজ নিয়ে বেশি ভাবছেন। কারণ, সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী শাওয়াল মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে নতুন করে আর উমরার ভিসা দেওয়া হয় না। এমতাবস্থায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উমরা পালন স্থগিতই থাকছে- এটা অনেকটা নিশ্চিত।
আর ২০২০ সালের হজ পালনের সিদ্ধান্তও খুব শীঘ্রই জানানো হবে। ধারণা করা হচ্ছে, করোনার প্রকোপ কমে আসা দেশগুলোর মুসল্লিদের হজের জন্য অনুমতি দিতে পারে দেশটি।