পৃথিবীতে করোনা সঙ্কটের ভারি বাতাস বইছে। এ রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর খবর এখনও উদ্বেগজনক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিদিন বৈশ্বিক পরিসংখ্যানের আপডেট দিচ্ছেন। এসবের কোথাও যেনো কোনো আশার আলো নেই। সৌদি আরবেও করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যমতে আক্রান্তের সংখ্যা বিশ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা দেড় শতাধিক।
করোনা প্রকোপে মক্কার মসজিদে হারাম আর মদিনার মসজিদে নববীতে সীমিত আকারে জামাত-জুমা-তারাবি চালু থাকলেও সাধারণদের প্রবেশে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। রমজানের সেই চিরায়ত কোনো চিত্র নেই মক্কা ও মদিনায়।
এতোদিন ধরে দেশটিতে লকডাউন জারি ছিলো। রমজানের আগমনে মক্কা মোকাররমা বাদে অন্যসব অঞ্চলে সকাল নয়টা হতে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত সময়ে লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে।
অথচ রমজানের শুরুতে প্রায় সবাই আশায় ছিলো, রোজা হতেই হয়তো মক্কা ও মদিনার পথ সকল মুসলমানদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবেভ মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববীর দরজা সকলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। মুমিনরা আশাহত হতে পারে না। হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তোমরা (অন্যকে কল্যাণী বিষয়ে) সুসংবাদ দাও এবং ভয় কিংবা আতঙ্কিত করো না।’ -সহিহ বোখারি: ৬৯
এর আলোকে মঙ্গলবার (২৮এপ্রিল) রাতে মক্কা ও মদিনা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রেসিডেন্ট শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইসকে মক্কা ও মদিনা খুলে দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা সকলকে এ বিষয়ে সুসংবাদ দিতে চাই যে, ইনশাআল্লাহ- শীঘ্রই এই মুসিবত কেটে যাবে। আমরা আবার আমাদের সেই তাওয়াফ, সাঈর পুরোনো চেহারায় ফিরে যাবো। রাসূলের রওজা মোবারকে সালাম ও দরূদ পাঠের সেই নূরাণী আভায় আবির্ভূত হবো। কিছু প্রসেসিং ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনেই আমরা এসবে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করবো।
তিনি আরও বলেন, দেশটির সরকার এ ব্যাপারে আরও বেশি আগ্রহী।
এদিকে দেশটির হজ ও উমরা মন্ত্রণালয় হতে এক টুইট বার্তায় জানানো হয়েছে, মক্কা-মদিনার বিষয়ে মুসলমানদের হৃদয়ের অনুভূতিকে আমরা গুরুত্বের সাথেই দেখছি। এটিই আমাদের বড় শক্তি। তবে এখনও নির্দিষ্ট কোনো দিনক্ষণ ঠিক হয়নি।
উল্লেখ্য যে, করোনা থেকে রক্ষায় সার্বিক নিরাপত্তা বিবেচনার প্রথম ধাপ হিসেবে ২৬ ফেব্রুয়ারি বিদেশিদের জন্য উমরার ভিসা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ১৭ মার্চ দেশটির সকল মসজিদে জুমা ও জামাত আদায় স্থগিত করা হয়।