শতাব্দীর পর শতাব্দী মুসলিম উম্মাহ কোরআনে কারিমের প্রতি অভাবনীয় অনুরাগ ও ভক্তি প্রদর্শন অব্যাহত রেখেছে। ছেলেমেয়েদের জীবনে প্রথম পাঠ শুরু হয় এই কোরআন মাজিদ শিক্ষার মধ্য দিয়ে এবং কোরআন পাঠের মধ্য দিয়েই শুরু হয় মুসলমানের প্রতিদিনের জীবনযাত্রা। সেই সঙ্গে নানা বয়সীরা কোরআন মুখস্থ করেন। এটা কোরআন মাজিদের অলৌকিকত্বই বটে। এর বহিঃপ্রকাশ প্রায়ই দেখা যায়।
এরই ধারাবাহিকতায় সাত মাসে পবিত্র কোরআনের হাফেজ হয়েছে ওমর ফারুক ফাহিম নামের এক কিশোর। তার বয়স ১১ বছর। দ্রুত সময়ে ৩০ পারা কোরআন হিফজ করায় আনন্দিত ফাহিমের পরিবার ও শিক্ষকরা। ফাহিমের মাধ্যমে তার সহপাঠীরাও উৎসাহ পাবে বলে মনে করেন শিক্ষকরা।
ফাহিম লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার লামচর ইউনিয়নের কাশিমনগর গ্রামের বেপারী বাড়ির ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের ছেলে। সে উপজেলার মাঝিরগাঁও মাদরাসা-ই দারুল উলুম মাদানিয়ার (সাবেক মনিকানন) ছাত্র।
ওমর ফারুক ফাহিম বলেন, বাবা-মা আমাকে ইসলামের পথে দেখতে চেয়েছিলেন। এজন্য আমাকে মাদরাসার হেফজ বিভাগে ভর্তি করান। আমি তাদের স্বপ্ন পূরণে মনোযোগ দিয়ে কোরআন মাজিদ পড়তে শুরু করি। মুসলিম হিসেবে কোরআন মাজিদের হাফেজ হওয়া আমার জন্য সর্বোচ্চ পাওয়া। হাফেজ হতে শিক্ষকরাও আমাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছেন।
ফাহিমের বাবা মিজানুর রহমান বলেন, কোরআনে কারিমের হাফেজ হয়ে ফাহিম আমাদের স্বপ্ন পূরণ করেছে। তার জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি।
মাদরাসা-ই দারুল উলূম মাদানিয়ার হেফজ বিভাগের শিক্ষক মো. ইউসুফ বলেন, ফাহিম প্রতিভাবান ছাত্র। সাত মাসেই সে পুরো ৩০ পারা কোরআন আয়ত্ত্ব করতে পেরেছে। আশা করছি এ প্রতিভা কাজে লাগিয়ে সে একদিন বড় আলেম হবে।
মাদরাসার মোহতামিম হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান বলেন, ফাহিম গত বছর আমাদের মাদরাসায় ভর্তি হয়েছে। সে খুব ভালো ছাত্র। আল্লাহর অশেষ রহমতে সে অল্প সময়ে হাফেজ হয়েছে। এটি আমাদের জন্য গর্বের। তাকে দেখে অন্য শিক্ষার্থীরাও ব্যাপক উৎসাহ পাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মাদরাসা-ই দারুল উলুম মাদানিয়ায় নূরানী ও হেফজ বিভাগে ৬ শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। প্রতি বছর এই মাদরাসার হেফজ বিভাগ থেকে শতাধিক শিক্ষার্থী হেফজ সম্পন্ন করে।