পবিত্র কাবা ঘরের পর্যায়ক্রমিক নিয়মিত সংস্কারমূলক রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হওয়া সংস্কারকাজ শেষ হতে কয়েকদিন সময় লাগবে। সৌদি আরবের অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বিভাগের তত্ত্বাবধানে এবং বিভিন্ন সরকারি সংস্থার সহযোগিতায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশেষজ্ঞ দল সংস্কার কাজ করছেন।
সংস্কারকাজ উপলক্ষে মাকামে ইবরাহিম ঘেঁষে হাতিমে কাবারসহ কাবার চারপাশে বেষ্টনী দেওয়া হয়েছে। তওয়াফকারী বেষ্টনীর বাইরে থেকে কাবা তওয়াফ করছেন। চলতি মৌসুমে পবিত্র কাবার ছাদ, দেয়াল ও দরজাসহ প্রয়োজনীয় স্থানে সংস্কার কাজ চলবে।
মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের ধর্মবিষয়ক পরিচালনা পর্ষদের প্রধান শায়খ ড. আবদুর রহমান আস সুদাইস জানিয়েছেন, ‘পবিত্র কাবা ঘরকে সম্মান করা, তা পবিত্র রাখা ও রক্ষণাবেক্ষণ করা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। মুসলিমদের অন্তরে এই ঘরের আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ তা নামাজের কিবলা এবং হজ ও ওমরা পালনের স্থান। সৌদি আরবে বাদশাহ সালমান ও যুবরাজ মোহাম্মদের তত্ত্বাবধানে এই ঘরের পরিচ্ছন্নতা ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, মহান আল্লাহ কোরআন মাজিদে ও নবী কারিসম (সা.) হাদিসে এ ঘরের পবিত্রতার কথা তুলে ধরেছেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আমি ইবরাহিম ও ইসমাঈল (আ.)-কে নির্দেশ দিয়েছি, যেন তারা আমার ঘরকে পবিত্র রাখবে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও নামাজ আদায়কারীদের জন্য।’ -সুরা বাকারা : ১২৫
তা ছাড়া হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, এই উম্মত যত দিন পবিত্র এই ঘরের সম্মান করবে, তত দিন পর্যন্ত তারা কল্যাণের মধ্যে থাকবে। আর যখন তারা তা বিনষ্ট করবে, তখন ধ্বংস হবে। -ইবনে মাজাহ : ৩১১০
উল্লেখ্য, ১৪৩৮ হিজরি সালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়, যা শুরু থেকেই পবিত্র দুই মসজিদ গ্র্যান্ড মসজিদ ও মসজিদে নববি সম্প্রসারণের পুরো বিষয় তত্ত্বাবধান করছে। এর মাধ্যমে বৃহত্তম সৌদি সম্প্রসারণ, গ্র্যান্ড মসজিদ ও মাতাফের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্প, মসজিদে নববির তৃতীয় সৌদি সম্প্রসারণ প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে ১৪৪০ ও ১৪৪২ হিজরিতে এর তত্ত্বাবধানে পবিত্র কাবা ঘরের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হয়। সর্বশেষ গত রমজানে পবিত্র কাবার ছাদ অত্যাধুনিক রোবট দিয়ে পরিষ্কার ও প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হয়। এছাড়া কাবার গিলাফ কিসওয়ার রক্ষণাবেক্ষণের কাজ নিয়মিত করা হয়।