উত্তম চরিত্র ঈমানকে পরিপূর্ণ করে। চারিত্রিক সৌন্দর্য অর্জন না করে ঈমানের সৌন্দর্য অর্জন করা সম্ভব নয়। মহান আল্লাহ ইসলামের শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সর্বোৎকৃষ্ট চরিত্রের অধিকারী করে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর নিশ্চয়ই আপনি মহান চরিত্রের ওপর অধিষ্ঠিত।’ -সুরা কলম : ৪
কোরআনে কারিমে আরও ইরশাদ হচ্ছে, ‘যে তোমার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে তুমি তার সঙ্গে সে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করো। যে ব্যক্তি তোমার প্রতি জুলুম করে, তুমি তাকে ক্ষমা করে দাও।’ শুধু এতটুকেই ক্ষ্যান্ত নয়। আরও নির্দেশ এসেছে, ‘এরপর যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে মন্দ ব্যবহার করে, তোমার প্রতি জুলুম করে তুমি তার প্রতি অনুগ্রহ করো। তার সঙ্গে ভালো আচরণ করো।’
কথাবার্তা ও মৌখিক আচরণে একজন মুমিনকে কিভাবে শালীন হতে হবে সে ব্যাপারে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘মানুষের সঙ্গে সুন্দরভাবে কথাবার্তা বলো।’ –সুরা আল বাকারা : ৮৩
নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘তোমার ভাইয়ের সঙ্গে মুচকি হাসির বিনিময় করাও সদকার সওয়াব হয়ে যায়।’ –তিরমিজি
অনেক হাদিসে নবী কারিম (সা.) উন্নত নৈতিক চরিত্র অর্জন এবং খারাপ চরিত্র বর্জনের জন্য উম্মতকে উৎসাহিত করেছেন। ঈমানের উচ্চ আসনে আসীন হওয়ার জন্য উন্নত নৈতিক চরিত্র ও আচার-ব্যবহারের ন্যায় আর কোনো আমল নেই। তিনি ইরশাদ করেন, ‘ঈমানদার হচ্ছে ওই লোক যার চরিত্র সর্বোত্তম। আর তোমাদের মধ্যে সে লোক সর্বোত্তম যে তাদের স্ত্রী পরিবারের প্রতি উত্তম আচরণে অভ্যস্ত।’ –তিরমিজি
হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে একবার জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, কোন আমল মানুষকে বেশি বেশি করে জান্নাতে নিয়ে যাবে? তিনি বললেন, ‘আল্লাহভীতি ও উত্তম চরিত্র।’ আবার তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, কোন আমল মানুষকে বেশি বেশি করে জাহান্নামে নিয়ে যাবে? তিনি বললেন, ‘মুখ (বচন) ও গোপন অঙ্গ (ব্যভিচার)।’ –তিরমিজি
উত্তম চরিত্র, নীতি নৈতিকতার মাধ্যমে আমাদের ব্যক্তি জীবন, সামাজিক ও পারিবারিক জীবনকে সুন্দর থেকে সুন্দরতর করে তুলি। যাতে করে একটি সুখি সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে ওঠে।