রমজান মাসে মুসলমানরা মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববীর ইফতার আয়োজনে অংশ নিতে অপেক্ষায় থাকেন। এই দুই স্থানে ইফতার গ্রহণ করাকে তারা বরকতের বিষয় মনে করেন। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে ২০২০ সালে ইফতার আয়োজন বন্ধ ছিল। আশার কথা হলো, আসন্ন রমজানে হারামাইনে ইফতার আয়োজন করা হবে। এ লক্ষে ইফতার বিতরণে আগ্রহীদের অনুমতি নিতে নাম নিবন্ধনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
সোমবার (১৫ মার্চ) হারামাইন ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ঘোষণায়, পবিত্র রমজান মাসে মসজিদে হারামে ইফতার আয়োজনে আগ্রহীদের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে। আপাতত মসজিদে হারামে ইফতার আয়োজনে আগ্রহীরা নিবন্ধন করার সুযোগ পাবেন। এখনও মসজিদের নববীর জন্য নিবন্ধনের ঘোষণা দেওয়া হয়নি। নিবন্ধনের সময় কোন দিন, কত জনকে কোন স্থানে ইফতার করাতে আগ্রহী তা উল্লেখ করতে হবে। শুধুমাত্র ইফতার বিতরণের অনুমতিপ্রাপ্তরা মসজিদে হারামের নির্দিষ্ট স্থানগুলোতে ইফতার বিতরণ করার সুযোগ পাবেন।
২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে হারামাইন শরিফাইনে ইফতার আয়োজন এবং সব ধরনের খাবার বিতরণ বন্ধ ঘোষণা করে সৌদি আরব।
হারামাইনের ইফতারে অংশ নেওয়া মানুষের মাঝে পরিলক্ষিত হয় ভ্রাতৃত্ববোধ, সৌহার্দ্য এবং ভালো কাজ করার প্রতি মানুষের প্রবল আগ্রহ। এ সময় সব মুসলিম এক কাতারে শামিল হয়ে যান। আল্লাহপ্রেমী মানুষজন আগত অতিথিদের উদারভাবে মেহমানদারী করেন।
বরকতময় এই ইফতার আয়োজনে থাকে- খেজুর, পানি, রুটি, কফি, চা, দই, বাদাম, বিভিন্ন প্রকারের জুস, রাইস, গরু কিংবা মুরগীর গোশত। প্রচুর মানুষ এই ইফতারে শরিক হলেও খাদ্য বিতরণ ও ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি কঠোরভাবে খেয়াল রাখা হয়।
নিয়ম অনুযায়ী, যারা ইফতার সামগ্রী প্রদান করেন তারা সুপারভাইজার ও স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করেন। তারাই ইফতার বিতরণ ও পরিষ্কারের দায়িত্ব পালন করেন।