পবিত্র কাবার দরজার ডিজাইনার প্রকৌশলী মুনির সারি আল জুনদি ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। সিরিয়ার হেমস শহরে জন্ম নেওয়া এ প্রকৌশলীর নাম পবিত্র কাবার দরজার ওপর লেখা রয়েছে।
১৩৯৭ হিজরি মোতাবেক ১৯৭৬ সালে সৌদি আরবের বাদশাহ খালেদ বিন আবদুল আজিজ শতভাগ খাঁটি স্বর্ণ দিয়ে কাবা ঘরের একটি দরজা নির্মাণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। আর সেই দরজার ডিজাইন করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় মুনির আল জুনদিকে।
প্রকৌশলী মুনির সারি আল জুনদির মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের গণমাধ্যম গালফ টুডে। সৌদি নাগরিক ও ভূতত্ত্ববিদ বদর বাদরাহ আল জুনদির মৃত্যুর খবর গণমাধ্যমে জানিয়েছেন।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) দক্ষিণ জার্মানির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আল জুনদি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।
হারামাইন সূত্রে প্রকাশ, পবিত্র কাবা জিয়ারতে যেয়ে বাদশাহ খালেদ বিন আবদুল আজিজ দেখেন, পবিত্র কাবার দরজাটি জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। তখন তিনি নতুন দরজা বানানোর ফরমান জারি করে কাবার দরজা তৈরির দায়িত্ব মক্কার বদর পরিবারকে দেন।
এই কাজ বাস্তবায়ন করেন মাহমুদ বদর ও তার ছেলে মুহাম্মাদ। এই কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, দরজাটির নকশা করেন মুনির আল জুনদি এবং এর রেখাগুলো তৈরি করেন শেখ আবদুর রহিম বোখারি। দরজার তৈরির কাজ শেষ করতে সময় লাগে দেড় বছর। বাদশাহ খালেদ পুরো দরজাটি বিশুদ্ধ স্বর্ণ দ্বারা তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, কাবার দরজার উচ্চতা তিন মিটারের কিছু বেশি এবং আনুমানিক দুই মিটার চওড়া। পুরু প্রায় অর্ধ মিটার। থাইল্যান্ডের ম্যাকা কাঠের তৈরি ফ্রেমে বানানো দরজাটিতে দু’টি কাঠের ঠেস ব্যবহার করা হয়েছে। দরজায় ২৮০ কেজি বিশুদ্ধ স্বর্ণ ব্যবহার করা হয়েছে।
তিনি জানান, এই দরজার নকশার জন্য প্রকৌশলী আল জুনদির সঙ্গে চুক্তি করা হয় এবং বাস্তবায়নে খরচ হয় ৩ লাখ সৌদি রিয়াল। কাবা ঘরের দরজা তৈরিতে মক্কায় একটি বিশেষ ওয়ার্কশপ স্থাপন করা হয়েছিল।