করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ দিন ধরেই মসজিদুল হারামে জন সাধারণের প্রবেশে সীমিত রেখেছে সৌদি আরব। বন্ধ রাখা হয়েছে উমরাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম। ৪ অক্টোবর থেকে পুনরায় উমরাসহ অন্যান্য কার্যক্রম শুরুর কথা জানালো সৌদি আরব।
মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করে উমরা পালনের অনুমতি দেওয়া শুরু করবে।
হারামাইন প্রেসিডেন্ট শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইস খাদেমুল হারামাইন সৌদি বাদশাহকে উমরা চালুর ঘোষণা দেওয়ায় ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, মসজিদে হারাম কর্তৃপক্ষ উমরার পালনকারীদের স্বাগতম জানাতে প্রস্তুত।
করোনাভাইরাস সংক্রান্ত ঘটনাবলী মূল্যায়ন করার পরে এবং বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের আকাঙ্ক্ষার প্রেক্ষাপটে উমরা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তিন ধাপে উমরা চালুর প্রথম পর্যায়ে সৌদি নাগরিক ও দেশটিতে অবস্থানরত প্রবাসীদের মধ্য থেকে ৪ অক্টোবর মোট ধারণক্ষমতার ৩০ শতাংশ মানুষ উমরা করার সুযোগ পাবেন। অর্থাৎ একদিনে ছয় হাজার মানুষকে উমরা পালনের সুযোগ দেওয়া হবে।
প্রথম ধাপে উমরার আবেদন ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে করা যাবে।
দ্বিতীয় ধাপে ১৮ অক্টোবর থেকে মসজিদুল হারামের মোট ধারণ ক্ষমতার ৭৫ শতাংশ অর্থাৎ ১৫ হাজার মানুষ উমরা পালন ও ৪০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায়ের সুযোগ পাবেন।
তৃতীয় ধাপে ১ নভেম্বর থেকে সকল দেশের মুসলিমদের জন্য বায়তুল্লাহ শরীফ উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এ সময় প্রতিদিন ২০ হাজার মানুষ উমরা ও ৬০ হাজার মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবেন।
আর চতুর্থ পর্যায় অর্থাৎ সর্বশেষ ধাপে, করোনা মহামারি দূর হওয়ার পর মসজিদুল হারাম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।
জানা গেছে, সৌদি আরবের হজ ও উমরা মন্ত্রণায়ের চালু করা ‘ই’তামারনা’ (اعتمرنا) নামক অ্যাপসের মাধ্যমে সবাইকে মসজিদুল হারামে প্রবেশসহ সব ধরণের নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এই অ্যাপসের মাধ্যমে আগত সবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও উমরার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা হবে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পবিত্র স্থানগুলোতে আগমনকারী সবাইকে করোনা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা মেনে চলা, মাস্ক পরা, অন্যের কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে এবং শারীরিক সংস্পর্শ এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছে।
-আরব নিউজ অবলম্বনে