সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার এবং এ নিয়ে বিদেশি কোনো সংগঠনের হস্তক্ষেপের অধিকার নেই। সুপ্রিম কোর্টে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা জানিয়েছে ভারত।
দেশটির সংবাদ মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেছেন, গত সোমবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বাচলেটকে ভারতের সিএএ-এর বিষয়ে আমরা পরিষ্কার করেছি। বলেছি, সিএএ সাংবিধানিকভাবে বৈধ এবং সাংবিধানিক মূল্যবোধগুলোর সমস্ত প্রয়োজনীয়তাগুলোর অনুবর্তী।’
গত ডিসেম্বরে সংসদে পাস হয় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। তারপর থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। এর মধ্যে অন্যতম শাহিনবাগের বিক্ষোভ।
এরপরই উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ জানিয়েছিল, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের এই সংশোধন দেশের মানুষের জাতীয়তায় বৈষম্যমূলক প্রভাব ফেলবে। সমস্ত অনুপ্রবেশকারীরই সুরক্ষা, সম্মান ও মানবিক অধিকার পূর্ণ হওয়ার অধিকার রয়েছে।
উল্লেখ্য, এই আইনে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আগত ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার অমুসলিম শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
সমালোচকদের মতে, এই আইন বৈষম্যমূলক এবং ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী। এই আইন ও এনআরসি মুসলিমদের লক্ষ্য করেই বানানো হয়েছে বলেও দাবি সমালোচকদের।