লিবিয়ায় যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টা পরই লঙ্ঘন

আফ্রিকা, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 08:07:46

লিবিয়ার ক্ষমতার দ্বন্দ্বে লড়াইরত দুই পক্ষ পরস্পরকে যুদ্ধবিরতি না মানার জন্য অভিযুক্ত করেছে। যুদ্ধবিরতি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা যেতে না যেতেই আন্তর্জাতিক সমর্থন পাওয়া সরকার ও বিরোধী পক্ষ এ অভিযোগ তুলে।

সমর্থনদাতাদের চাপের মুখে উভয়পক্ষ রোববার (১২ জানুয়ারি) যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পর লিবিয়ার সরকার ও জেনারেল খলিফার হাফতারের বাহিনী জানায়, রাজধানী ত্রিপোলির বিভিন্ন অংশে লড়াই চলছে।

গত সপ্তাহে ইস্তানবুলে এক বৈঠকে লিবিয়ার উভয়পক্ষকে যুদ্ধবিরতি করার আহ্বান জানান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

ত্রিপোলিভিত্তিক সরকারের প্রতি সমর্থন রয়েছে জাতিসংঘের বিভিন্ন দেশ, বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোর। তুরস্ক প্রত্যক্ষভাবে লিবিয়ার সরকারকে সমর্থন করে আসছে। এক চুক্তির আওতায় গত সপ্তাহে লিবিয়ার সরকারি বাহিনীকে সহায়তা দিতে সেনাসদস্য পাঠায় তুরস্ক।

অন্যদিকে জেনারেল হাফতারের বাহিনীর প্রতি রাশিয়া ছাড়াও সমর্থন রয়েছে মিশর, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্ডানের।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে তেল সমৃদ্ধ লিবিয়া আফ্রিকার আঞ্চলিক দ্বন্দ্বের মঞ্চ বা ‘দ্বিতীয় সিরিয়া’ হতে পারে। প্রায় সাত বছর ধরে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে সরকারি বাহিনীকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাহায্য করছে রাশিয়া ও ইরান। অন্যদিকে, বিদ্রোহীদের সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ।

২০১১ সালে দীর্ঘ দিনের শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফি পশ্চিমা আগ্রাসনে ক্ষমতাচ্যুত ও নিহত হয়। এরপর থেকে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়।

জেনারেল হাফতারের বাহিনী দ্য লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এলএনএ) দখলে রেখেছে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চল। ২০১৯ সালের এপ্রিলে এলএনএ রাজধানী ত্রিপোলি দখলে অভিযান চালায়। তবে সরকারি বাহিনীর মুখে বেশি অগ্রগতি করতে পারেনি হাফতারের বাহিনী। তবে, নতুন বছরের শুরুতে লিবিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম শহর সিরতে দখলে নেয় এলএনএ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর