পৃথিবীর আকারের বাসযোগ্য গ্রহের সন্ধান

ভারত, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-26 16:41:33

পৃথিবীর আকারের মতো বসবাসযোগ্য একটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছে মার্কিন গবেষণা সংস্থা নাসা। পৃথিবী থেকে মাত্র একশো আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত ওই গ্রহটিতে পানি থাকতে পারে বলে নাসার বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) হাওয়াইয়ের হনুলুলুতে আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির বার্ষিক বৈঠকে নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরি এ তথ্য জানায়।

নাসার গ্রহ সন্ধানকারী উপগ্রহ টেস এ গ্রহের সন্ধান পেয়েছে। গ্রহটির নাম দেয়া হয়েছে ‘টিওআই ৭০০ ডি।

পৃথিবীর আকারের মতো গ্রহের সন্ধানে বিশেষত গ্রহ সন্ধানকারী টেস তৈরি করা হয়েছে বলে জানান নাসার নভোপদার্থবিদ্যার (অ্যাস্ট্রোফিক্সিস) শাখার পরিচালক পল হারৎজ।

তবে, এর আগে এই গ্রহ নিয়ে ভুল তথ্য দিয়েছিল টেস। প্রথমে গ্রহটিকে পৃথিবীর চেয়ে বড় আকারের ও উষ্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে টেস। তবে, গবেষণাকারীরা পরে টেসের ভুল তথ্য দেয়ার কারণ শনাক্ত করে ও সংশোধন করে। ওই গবেষক দলে শখের বসে মহাকাশ নিয়ে গবেষণাকারী থেকে শুরু করে স্কুলের শিক্ষার্থীও ছিল।

শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকের শিক্ষার্থী এমিলি গিলবার্টও ছিলেন ওই গবেষণা দলে। তিনি জানান, আমরা যখন নক্ষত্রের (টিওআই ৭০০) পরিধি(প্যারামিটার) সংশোধন করলাম, তখন নক্ষত্রটির গ্রহগুলোর আকার কমে গেল। এরপর আমরা দেখতে পেলাম, নক্ষত্রের পরিধির সবচেয়ে দূরে অবস্থিত গ্রহটি পৃথিবীর আকারের ও বসবাসের যোগ্য অঞ্চলে অবস্থিত।’

নাসার এ আবিষ্কারের সত্যতা যাচাই করেছে স্পিৎজার স্পেস টেলিস্কোপ।

এর আগে পৃথিবী সদৃশ কয়েকটি গ্রহের সন্ধান দিয়েছে কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ। তবে, ২০১৮ সালে কার্যক্রম শুরুর পর এবারই প্রথম পৃথিবী সদৃশ গ্রহের সন্ধান দিল টেস। টিওআই ৭০০ নক্ষত্রের তিনটি গ্রহের সন্ধান দিয়েছে টেস। এগুলোর নাম দেয়া হয়েছে টিওআই ৭০০ বি, সি ও ডি। তবে, একমাত্র টিওআই ৭০০ডি বসবাসযোগ্য এলাকায় অবস্থিত বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের। গ্রহটি নক্ষত্র থেকে না বেশি দূরে, আবার না অতি নিকটে। এমন অবস্থানের কারণে গ্রহটিতে পানি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

নাসার তথ্য মতে, গ্রহটি পৃথিবীর চেয়ে ২০ শতাংশ বড়। তবে, মাত্র ৩৭ দিনে বছর এ গ্রহটির। পৃথিবীর মতো টিওআই৭০০ ডি তার শক্তির ৮৬ শতাংশ পায় তার নক্ষত্র থেকে।

বসবাসের যোগ্য হিসেবে ধারণা করা হলেও গ্রহটি কি দিয়ে তৈরি হয়েছে সেটি এখনো অজানা নাসার বিজ্ঞানীরা। তারা গ্রহটির বায়ুমণ্ডলের গঠন ও ভূমণ্ডলের আবহাওয়া জানতে গবেষণা চালাচ্ছেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর