মিয়ানমারে প্রথমবারের মতো আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) মিয়ানমারের কৃষি, প্রাণিসম্পদ ও সেচ মন্ত্রক এ রোগ শনাক্তের ঘোষণা করে।
এ ভাইরাসটি মানুষকে সংক্রামিত করে না। তবে শূকর সংক্রামিত হলে ৯০ শতাংশই মারা যায়। এ রোগের কোন ভ্যাকসিন বা নিরাময় নেই।
শান প্রদেশের ম্যান লার টাউনশিপের ওয়াম নিউউ গ্রামে ১৪টি শূকর এই ভাইরাসে মারা গেলে মিয়ানমারের কৃষি, প্রাণিসম্পদ ও সেচ মন্ত্রক একটি তদন্তের মাধ্যমে এ রোগ শনাক্ত করে।
মৃত শূকরগুলির নমুনা টিস্যু বায়োলজি পরীক্ষার জন্য ইয়াঙ্গুন এবং মান্ডালে পরীক্ষাগারে নেওয়া হয়েছিল। পরীক্ষার পর আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার ভাইরাস জিনকে শনাক্ত করা হয়েছে।
চীনে গত বছর থেকেই আফ্রিকান সোয়াইন জ্বরের প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা গেছে। তবে মিয়ানমারে এই প্রথম ভাইরাসটি ধরা পড়ল। দেশটির কৃষি, প্রাণিসম্পদ ও সেচ উপ-স্থায়ী সচিব ইউ টুন লুইন জানান, সকল প্রকার পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এটি নিশ্চিত করা হয়েছে।
গত বছরের আগস্টে চীনে প্রথমবারের মতো এই রোগের ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছিল। বর্তমানে চীনের প্রায় প্রতিটি প্রদেশেই এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে এবং ধারণা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে এ দেশ থেকে শূকর উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাবে।
কিছু বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন যে, চলতি বছরের শেষের দিকে ২০ কোটি প্রাণী এ সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে হারিয়ে যাবে।
কম্বোডিয়া, লাওস, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলেও এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে।
এই মাসের শুরুর দিকে ইউরোপের কিছু অংশেও এই রোগের প্রাদুর্ভাবের খবর পাওয়া গিয়েছে।