ভিয়েতনামের হ্যানয়ে একটি গাড়ি থেকে ৭ টি বাঘ শাবকের হিমায়িত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে বন্য পাচারকারী দলের দুই সদস্যকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) দেশটির সংবাদ মাধ্যম জানায়, লাওস থেকে আসা একটি চোরাচালান চক্র এই বাঘ শাবকগুলো পাচারের উদ্দেশে নিয়ে যাচ্ছিলো। চোরাচালন চক্রটি দীর্ঘদিন থেকে বন্য প্রাণি পাচারের সঙ্গে জড়িত। বৃহস্পতিবার একটি গাড়ি পার্কিংয়ের স্থান থেকে বাঘ শাবকগুলো উদ্ধার করা হয়।
দেশটির জন নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মূখপাত্র এন নান দান জানান, চোরাচালান চক্রটি বিল্ডিং সরঞ্জাম তৈরির নামে বাঘসহ অন্য বন্য প্রাণি ও তার চামড়া পাচার করে আসছিলো।
তিনি বলেন, বাঘ শাবকের মৃতদেহগুলো লাওস থেকে এসেছে না অন্য কোনো স্থানের - এ বিষয়ে এই মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে এশিয়ার বিভিন্ন স্থানে বাঘের চামড়া ও মাংসের চাহিদা থাকা লাওস থেকে বিভিন্ন সময় সরবরাহ করে পাচারকারীরা।
এর আগেও ভিয়েতনাম পুলিশ বিভিন্ন সময় বন্য প্রাণি পাচারের সময় লাওস সীমান্ত থেকে কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। বন্যপ্রাণি চোরাচালানের জন্য ভিয়েনাম ও লাওস সীমান্ত বেশ জনপ্রিয় রুট। এই রুট দিয়ে বাঘ, হাতি, হরিণের মাংস, শিং ও চামড়া পাচার হয়ে থাকে।
এসব চোরাচালান পণ্যের মধ্যে কিছু ভিয়েতনামে ব্যবহার হয়, বাকী সব চীনে চলে যায় বলে জানায় দেশটির পুলিশ।
ভিয়েতনামে বাঘের শরীরের বিভিন্ন অংশ ঐতিহ্যগতভাবে ওষুধ ও অংলকার হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এখানে সেখানে বন্য বিড়ালও রহস্যজনকভাবে কমছে।