গত এপ্রিলে উলিগান দ্বীপ থেকে লুৎফর নামে এক বাংলাদেশি নিখোঁজ হয়েছিলেন। এ মাসে কুরিমাগুতে পানির নিচে তার মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়।
মালদ্বীপ পুলিশ জানিয়েছে, সহকর্মীকে সমকামিতার জন্য জোর করায় খুন হন লুৎফর।
কুরিমাগুতে একটি নৌকায় ওই ব্যক্তির সঙ্গে যে চারজন ছিলেন, তাদের আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) পুলিশের সুপারিনটেন্ডেন্ট হাসান শিফাউ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, লুৎফরকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় এবং মরদেহের সঙ্গে ভারী বস্তু বেঁধে সাগরে ফেলে দেওয়া হয়। সাগরের ২৭ মিটার গভীরে তার কঙ্কাল পাওয়া যায়। পাথর বোঝাই ব্যাগ এবং বেধে রাখার দড়িও পাওয়া যায়।
পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের প্রধান সাব ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ সামিহ বলেন, আটক তিনজনই খুন করার কথা স্বীকার করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা আদালতকে হত্যার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।
লুৎফর মালদ্বীপে শেফ হিসেবে কাজ করতেন। গত ২২ এপ্রিল থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এরপর সন্দেনভাজন হিসেবে আলামিন এবং নূরুল ইসলাম নামে দু’জনকে আটক করা হয়। এরপর আতহার ও হানিফ নামে দুই সহোদরকেও আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিরা জানান, লুৎফর তাদের সঙ্গে যৌন সর্ম্পক করতে চাওয়ায় তারা তাকে হত্যা করেছেন।