থাইল্যান্ডের সমুদ্র অঞ্চলে ‘সি হোম’ তথা সমুদ্র বাড়ি তৈরি করার দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক দম্পতি।
সঙ্গিনী সাপ্রানে থেপদেটের সঙ্গে চ্যাড ইলোআরটোস্কি একান্তে ও লুকিয়ে থাকার জন্যেই সমুদ্রের মাঝে বাড়ি তৈরি করেন। সেক্ষেত্রে দেশটির নৌবাহিনী বলছে, এতে করে দেশটির সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়েছে।
পুখেটের তীর থেকে ১২ মাইল দূরে ৬৫ ফিট উঁচু প্ল্যাটফর্মে অবস্থিত এই দম্পতির তৈরি বাড়িটি। তবে ইলোআরটোস্কি জানাচ্ছে আদতে তাদের বাড়িটি তীর থেকে ১৩ মাইল দূরে অবস্থিত। এতে করে দেশটির সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়ার প্রশ্নই আসে না।
এএফপির বরাত দিয়ে থাইল্যান্ডের পুলিশ নিকম সমসুক বলেন, ‘নৌবাহিনী থেকে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে খোঁজ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পরবর্তীতে কি করা হবে। দম্পতিটি থাইল্যান্ডের সমুদ্রে ঘর তৈরি করার আগে কোন ধরণের অনুমতি নেয়নি’।
যদি এই দম্পতিকে দেশটির সার্বোভৌম আইন লঙ্ঘনকারী হিসেবে পাওয়া যায়, তবে তাদের কারাবাসের সাজাসহ মৃত্যুদণ্ডাদেশও হতে পারে।
ইলোআরটোস্কি ভার্চুয়াল কারেন্সি বিটকনে বিনিয়োগকারী হিসেবে কাজ করার আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিলিটারিতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন।
এই দম্পতি তথাকথিত ‘সিস্টেডিং’ কার্যক্রমের আওতায় সমুদ্রের বুকে এমন বাড়ি তৈরি করেন। এই কার্যক্রমে আন্তর্জাতিক ও কোন দেশের সীমানাবিহীন সমুদ্র এলাকায় বাড়ি তৈরির বিষয়ে উৎসাহ দেওয়া হয়।
তারা ‘ওশন বিল্ডার্স’ নামক একটি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও জড়িত। এই প্রতিষ্ঠানটি এমন কার্যক্রমকে উৎসাহ ও সম্মতি দিয়ে থাকে।
ইলোআরটোস্কি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এই কার্যক্রম সম্পর্কিত একটি ভিডিও তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেন এবং সেই একই মাসে সমুদ্রের বুকে এই বাড়িটি তৈরি করেন। কিন্তু মজার বিষয় হলো, থাইল্যান্ডের কর্তৃপক্ষ মাত্র গেলো সপ্তাহে এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হতে পেরেছে।