মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের কাছে নিলাই নামক এলাকায় চালকের ভুলে একটি বাস দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এতে নিহত হয়েছেন পাঁচ বাংলাদেশি শ্রমিকসহ মোট ১১ জন।
রোববার (৭ এপ্রিল) স্থানীয় সময় রাত সোয়া ১১টার দিকে ঘটা এ দুর্ঘটনায় ওই মালয়েশিয়ান চালক ছাড়াও পাঁচজন বাংলাদেশি শ্রমিক, দু’জন নেপালি এবং তিনজন ইন্দোনেশিয়ান নারী নিহত হন। তবে নিহত বাংলাদেশি শ্রমিকদের নাম-ঠিকানা এখনো পাওয়া যায়নি।
কুয়ালালামপুর পুলিশের সহকারী কমিশনার জুলকিফ্লি আদামসাহ জানিয়েছেন, ৪৩ বছর বয়সী চালক মহাসড়কের থ্রি ও'ক্লক ব্যবহার না করে টুয়েল্ব ও' ক্লক এক্সিট ব্যবহার করেন। আর তাতেই দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।
সোমবার (এপ্রিল ০৮) সকালে সেরদাং হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মাস কার্গোর দিকে যে পথটি চলে গেছে সেই লেনটি ব্যবহার না করে তিনি অন্য লেনে ছিলেন। সেখানে একটি মোড় থেকে ২০০ মিটার দূরে দুর্ঘটনাটি ঘটে। তদন্ত করে দেখা হবে, তিনি কেন ভুল লেনে গাড়ি চালাচ্ছিলেন।
রোববার স্থানীয় সময় রাত সোয়া ১১টায় এয়ারপোর্টের কার্গো শাখার পাশে জালান এস৮ পেকেলিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরো পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন। চালকের বিরুদ্ধে কোনো ট্রাফিক আইন ভাঙ্গার রেকর্ড নেই এবং তার মেয়াদসহ ড্রাইভিং লাইসেন্সও রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা সবকিছুই বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত করছি। চালক বা কোম্পানির গাফিলতি রয়েছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।
বাসে মোট ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন। এরা সবাই মালয়েশিয়া কার্গোর চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক। পুত্রা নিলাই, নেগ্রি সেমবিলান থেকে তারা কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন।
বাকি ৩৪ জন যাত্রীকে কাজাং, সেরদাং এবং পুত্রজায়ার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দুর্ঘটনার এক ঘণ্টা পর সেখানে ফায়ার অ্যান্ড রেস্কু বিভাগ হাজির হয় এবং বাসের বিভিন্ন অংশ কেটে যাত্রীদের উদ্ধার করে।