নেপালের দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকায় তীব্র ঝড়ের সঙ্গে ভারি বৃষ্টিপাতে অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও চার শতাধিক।
রোববার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় দেশটির বারা ও পারসা জেলার উপর দিয়ে বৃষ্টিসহ তীব্র ঝড় বয়ে গেলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি এক টুইট বার্তায় এ হতাহতের খবর নিশ্চিত করেছেন। খবর দ্য হিমালয়ান টাইমস।
টুইট বার্তায় নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারের তরফ থেকে সবধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। তাৎক্ষণিক উদ্ধার ও ত্রাণ সরবরাহের জন্য হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ’
ক্ষতিগ্রস্ত অধিকাংশ এলাকা ভারতের সাীমান্তবর্তী। ঝড়ে কবলিত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারে নেপালি পুলিশ ও সেনাবাহিনী সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। আহতদের বীরগঞ্জ ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নারায়নি সাব রিজিওনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বারা জেলার শীর্ষ কর্মকর্তা রাজেশ পাউদেল জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত অনেক এলাকায় উদ্ধারকারীরা এখনো পৌঁছতে পারেননি, তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জানা যায়, নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ৬২ কিলোমিটার দক্ষিণে বারার অবস্থান। সীমান্তবর্তী জেলাটির অনেকগুলো গ্রাম ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তীব্র ঝড়ের সঙ্গে ভারি বৃষ্টিপাতে গাছ, বৈদ্যুতিক ও টেলিফোনের খুঁটি উপড়ে পড়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।
ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত বিবরণ পাওয়ার পর মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে পাশ্ববর্তী পার্সা জেলা পুলিশ দফতর আশঙ্কা করছে।
পুলিশ কর্মকর্তা সানু রাম ভট্টরাই বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলোর উদ্দেশ্যে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে, কিন্তু রাতে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে পৌঁছানো কঠিন ছিল।