পশ্চিম তীর এবং জেরুজালেমের কারাগার থেকে ২১ জন কিশোর এবং ৬৯ নারীকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। তাদেরকে বাসে করে যখন রামাল্লায় নিয়ে আসা হয় তখন খুশির বন্যা বয়ে যায়। আতশবাজি উড়িয়ে কারাবন্দিদের আগমনকে উদযাপন করা হয়। তাদের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন আরও হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। এসব ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিষয়টি হামাসের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। খবর রয়টার্স
অন্যদিকে ইসরায়েলের তেল আবিবে প্রতিরক্ষা সদরদফতরের সামনে দাঁড়িয়ে শত শত ইসরায়েলিরা হামাসের কাছে থাকা তিন জিম্মিকে রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তরের দৃশ্য লাইভ দেখছিলেন। তিন নারী জিম্মিকে যখন রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হয় তখন অনেককে উল্লাস ও কান্না করতে দেখা যায়।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, মুক্তি পাওয়া তিন নারী রোমি গোনেন, দরোন স্ট্রেনব্রেচার এবং এমিলি দামারিকে তাদের মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে এবং প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে তাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা ভালো রয়েছে। যদিও হামাসের হাতে জিম্মি হওয়ার দিন গুলিতে দামারি দুটি আঙুল হারায়। মাকে জড়িয়ে ধরার সময় সে হাত উঁচিয়ে হাসছিল।
রোমি, দরোন এবং এমিলি ইসরায়েলে প্রবেশ করার পর প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফোন কলে এক কমান্ডারকে বলেন, ‘আপনি তাদের বলুন পুরো জাতি তাদের গ্রহণ করেছে। বাড়িতে ফিরে আসায় তাদের স্বাগতম।’
সেবা মেডিকেল সেন্টারে ওই নারীরা তাদের পরিবারের সঙ্গে আবার মিলিত হয়। এ সময় হাস্যোজ্বল দামারি ইসরায়েলি পতাকা জড়িয়ে ছিলেন। ইসরায়েল জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস হামলা চালিয়ে ২৫০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি এবং ১২০০ জনকে হত্যা করে। যাদের মধ্যে তারা ছিল।
এ ঘটনার পর ইসরায়েল গাজায় হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। হামলায় যুদ্ধবিরতির আগ পর্যন্ত ৪৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। এছাড়া ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। নিহত হয়েছেন ৪০০ ইসরায়েলি সৈন্য।
সূত্র: রয়টার্স