ইউক্রেনের নিরাপত্তার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে ৯৮৮ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর (পেন্টাগন) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়। খবর আল জাজিরা।
বিবৃতিতে পেন্টাগন বলেছে, এই প্যাকেজে থাকছে ড্রোন, রকেট লঞ্চারের জন্য গোলাবারুদ, ট্যাংক, সাজোয়া যান, আর্টিলারি সরঞ্জাম ইত্যাদি।
তবে এইসব সামরিক সরঞ্জাম সরাসরি আমেরিকার স্টক থেকে যাবে না। এইসব যুদ্ধাস্ত্র বিভিন্ন ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রি এবং মিত্রদের কাছ থেকে কেনা হবে। এর অর্থ সহায়তায় কেনা এইসব অস্ত্র সহসাই ইউক্রেনের হাতে পৌঁছবে না।
এর আগে গত সোমবার আমেরিকা ইউক্রেনের জন্য ৭২৫ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহযোগিতার ঘোষণা দেয়।
নভেম্বরের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় ইউক্রেনের জন্য আমেরিকার সামরিক সাহায্যের ভবিষ্যত নিয়ে সন্দেহ তৈরি করেছে। এমন কি ইতোমধ্যে ঘোষিত সাহায্য ইউক্রেনে পৌঁছাবে কি না সে বিষয়েও অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে।
এদিকে শনিবার সকালে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনেস্কি প্যারিসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
জেলেনেস্কি বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের যে কোন সমাধানে একটি ন্যায় সংগত মিমাংসা থাকা উচিত যেখানে ইউক্রেনের জন্য একটা শক্তিশালি নিরাপত্তা গ্যারান্টি থাকবে। ধারনা করা হচ্ছে ইউক্রেন-রুশ যুদ্ধের ইতি টানতে ট্রাম্প ইউক্রেনকে রাশিয়ার জন্য ছাড় দিতে বলবে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন চাচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ নেওয়ার আগে যতটা সম্ভব ইউক্রেনকে সহায়তা করতে। কারণ, ডোনাল্ড ট্রাম্প এইসব সামরিক সহায়তার ঘোর বিরোধী। ডিফেন্স সেক্রেটারি লয়েড অস্টিন শনিবার বলেছে যে রাশিয়ার বিরোধীতায় ব্যর্থতার মূল্য দিতে হবে।